দারুণ এ শীত সকালে দুর্বা ঘাসে
শিশির বিন্দুর বসেছে এক মেলা,
শীত চাদরে দেহ মুড়ে
প্রকৃতি তার ঢেকেছে দেহকলা।
কাঁঠাল গাছে বসে আছে
জোড়ায় জোড়ায় কাক,
সোনা রোদের অপেক্ষাতে
খুঁজছে শুধু একটুখানি ফাঁক।
খাবার খোঁজে উড়তে হবে
কিংবা চুরির আশায়,
মুখিয়ে আছে কাকের কুল
কাঁঠাল ঘরের বাসায়।
শেয়াল চলেছে কুয়াশা ঠেলে
ক্ষেতের আইলে হেঁটে,
গিন্নি শেয়াল একই সাথে  
চলছে শিশির চেটে।
খেঁকশিয়ালের বাচ্চাগুলোর
হয়েছে আবার কী?
শীত সকালে গর্ত ছেড়ে
ওঠা নামা, শুধইু দুষ্টামি।
লাউয়ের মাচায় ঝুলছে দেখি
সারি সারি লাউ,
শিম কুমড়ো আর পালং শাক
মাঠে আছে তাও।
সরষে ক্ষেতে হলুদ শাড়ি
ছড়িয়ে দিল কে,
হলুদ কন্যার রুপের নেশায়
পাগল সবাই যে!
উঠানে আবার শুনছি এ কী?
এ যে দারুণ বকা ঝকা!
আবুল কাকা চলেছে বলে
ছেলেরে তুই মস্ত ধাড়ি বোকা।
ভুলেছিস কি ভোর সকালে
লাউ টমেটো নিতে হবে হাটে?
মাত্র ক’খান নৌকা তাই
ভিড় জমে যায় ঘাটে।
আরে রে রে লাঠি হাতে আসছে তেড়ে
পরান ভায়ের দিদি,
বলছে সবাই এই সেরেছে!
পাগল বুড়ির ব্যাপার খানা কী?
দিদি তখন তড়বড়িয়ে
বলছে ভীষণ রেগে,                
আস্ত নাড়ুর পাতিল নিয়ে        
বাঁদর নাতি যাচ্ছিস কোথায় ভেগে?


মোঃ মজিবুর রহমান
১৩-১২-২০১৪ ইং।