দারুণ এ তীব্র শীতে কাঁপছে হৃদয় বৃন্দাবন।
মনের অন্তরা চলেছে ছুটে হাঁড়ি খেকো বিড়ালীর ন্যায়
খেজুর গুড়ের পাতিলের সন্ধানে।
শীত নন্দিনী মানছেনা কোন লিঙ্গ বৈষম্য
অথবা বয়সের বেড়া।
ঠেসে ধরে চালাচ্ছে সে দেহ ঘড়ির বত্রিশ রন্ধ্রে
মধুর এক কম্পন।
সকালের রোদ হাসি না দিয়েই চঞ্চল বালিকা বধুর ন্যায়
বিকেলেই দিচ্ছে ঘোমটা টেনে।
রাতে লেপের আস্তাবলে বক্র দেহী শয়ন;
অতঃপর সুখ নিদ্রায় শুধুই অনন্তপুরে গমন।
সকালের কুয়াশা নামে উর্বশীর অভিমান নিয়ে-
কখনও মধুর, কখনও বিধুর।
শহরের ব্যস্ত জনপদে শীতের বাবুয়ানা কোট প্যান্ট টাই
অথবা সুয়েটার ব্লেজারে ঢাকা।
গ্রামের রাস্তায় সেই ভোর সকালে নসিমন করিমনের যাত্রী;
গলায় মাফলার অথবা কানটুপি দিয়েই শীত ঢাকার প্রয়াশ।
শীতের পর্দা ভেদ করে শেয়াল শেয়ালনীর পথ চলা।
লিমেরিক কবিতার ছন্দে কখনও দীর্ঘ চলা
অথবা নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দু’জনে একটু খানি মিল
কিংবা অমিলের সাথে পথ হাঁটা।
ওদিকে কবির কলমেও শীত পারদের ওঠা নামা।
কখনও কলমের কালির স্রোতে ঘন কুয়াশার বন্যা।
আবার কখনও শীত আড়ষ্ঠতায় মূমূর্ষ শব্দের আহাজারি।


মোঃ মজিবুর রহমান।
২২-০১-২০১৫ ইং।