পৃথিবীর গোল পাতায় আমার আদি নিবাস।
এখানের এই আদম তলায় এক মাকুন্দ অধিবাসী আমি।
কখনও সুজন, কখনও দুর্জন আবার কখনও বা নির্জন
পরিবেশে আমার বাস।
এখানের কোথাও কোন দিঘির জলে কখনো ছায়া বাড়ে
দীঘল আঁচলায়।
বুকের পেয়ালায় তখন মন্দাকিনী জলের ঝালর আদুরিত হয়।
বউ কুটুম্ব পাখির মতই জীবন তখন যৌবন হয়ে চোখে ভাসে ।
গোল পাতার সমুদ্র খাড়ির নোনা জলের ওপারে দেখি অন্যরুপ।
গর্জনমুখর কামান অবিরত গোলা ফাটায়।
শ্যামসুন্দরের বাঁশীর আওয়াজ হারিয়ে যায় সেই শব্দে।
অনূঢ়ার যৌবন বিলাপে ‘শান্তি গোপিনী’র প্রলাপ শুনি।
গোল পাতার সেই ঘরে শ্যামল কাঁদে, শকুন হাসে।
সিরাজ নিবে, সরোজ ডোবে।
‘শান্তি’ চির বন্ধ্যা হয় অস্ত্র নামক বলদের মরণ যোঁয়ালে।
আবার সেই আমি দেখি পৃথিবীর গোল পাতার কোনখানে
নারীতে নরে হয় সহবত, আদমে আদমে চলে ভালোবাসার মহরত
এবং কালোতে ধলোতে হয় শান্তির অলিখিত দস্তখত।
আবার হঠাৎ কোথাও গোল পাতার কোন এক যাদু ঘরে
ফরমালিনের প্রতিশেধকে ভালোবাসা বেঁচে থাকে কাঁচের জারে।
নারীর প্রেম নরে শুষে, নারী কাঁদে নরে হাসে।
নারীর পিরামিডে নরের ভালোবাসার মমি কফিন বন্দি হয়।
তাসের আখড়াঘন ভূগোলের অন্যখানে নারী হয়ত তখন
লুটছে নরের ভালোবাসার বসতি ঘর।
দ্রোহী হয়ে উঠছে নারী, দ্রবনে ভাসছে নরের বিশ্বাস কঙ্কাল।
ভাঙ্গছে ঘর, পুড়ছে নর, উড়ছে মৌমাছি, হচ্ছে অগ্নিমুখি।
প্রথিবীর গোলপাতায় অবিরত চলছে এই সব এখানে ওখানে,
শুধু আমি তুমি সে হারিয়ে যাচ্ছি কালের কাঁকড়া নিবাস হতে।


মোঃ মজিবুর রহমান
২৪-০৩-২০১৫ ইং।