আমিও এক দিন ছিলেম তোমাদের মাঝে।
রোচনা লোচনাদের স্বর্ণায়ু উপাখ্যান, বক নদী খাড়ি জল,
ঝিঙ্গে ফুলের হলুদ আতসবাজি, কিশোরীর ধাবমান জঙ্ঘা,
সজিনা ফুলের শুভ্র তারাবাতি, গাভীর ওলানে উজায়ী
বাছুরের দুরন্ত আস্ফালন--এসবই ছিল আমার চোখের
অনূঢ়া প্রেম।
আমি দেখেছি অংশুমালীর দ্রোহী বুকে আলোক রশ্মির প্রেম
ভাঙ্গে, প্রেম গড়ে, তারপর নিংড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে।
আমি তাকে নিয়ে একদা লিখেছিলাম কবিতা।
শুক্লা শশীকে নিয়ে আমার প্রেমের দালান সে তো তাজমহল!
আমার কাব্যের জঠর জুড়ে তাকে নিয়ে প্রেম প্রেম খেলা
চলেছিল অনেক দিন।
আকাশের দূরত্ব আমি পারিনি কোন দিনই অতিক্রম করতে।
সেই আচার্যা আমাকে শিখিয়েছিল নীলিমার নীল আঁচল
কিভাবে কবির কলমে সুরভির দারু ছড়ায়,
কিভাবে রাতের আঁধারে অবলা নারীর স্তনঘন বুকে নিশ্বাসের
তনিমা ভাঙ্গে।
আমি নদীকে দেখেছিলাম নারীর মত, নারীকে দেখেছিলাম
স্রোতস্বিণী জলেশ্বরী রুপে।
রজঃবতী নদী, রজঃস্বলা জল ধারার নিরেট প্রতিরুপিণী।
উভয়ের বুক চিরে চিলচিলে বকনের ক্ষীপ্র প্রেম প্রবাহিত হয়
কুমারীর কামতৃষা নিয়ে।
অনুশাসনে সে প্রেম হয় অনাম্বরা, অনুঘাতে হয় সরোষিণী।


আমি তো এখন সাতকড়া ফলের মতই একদা গেছি ঝরে।
তবুও তোমাতে আমাতে আছে মেল বন্ধন।
আমার সেতু পেরিয়ে এক দিন তুমি আসবে চলে এপারে।
তারপর তোমার চাঁদের হাটের কথা শুনব আমি প্রাণ ভরে।


মোঃ মজিবুর রহমান
২৯-০৩-২০১৫ ইং।