ঈমানী ভাতি


বাণী পাঠিয়ে কলম বানিয়ে
বলল, ‘এবার পড়’
যিনি বানালেন তাঁরই নামে
পড়ে নিজেকে গড়।


কালি ও কলম দিয়ে লিখিবে
স্রষ্টার গুণ গান,
প্রথমেও তিনি শেষেও তিনি
তিনি সেরা মহান।


কাগজ আনিয়ে কথা শিখিয়ে
জ্ঞানের দ্বার খোলো,
ইচ্ছামাফিক জীবনাচরণ নয়
সব কিছু ভুলো।


জ্ঞাননুযায়ী আমলের কথা
জিজ্ঞাসিত হবে,
ভালো মন্দ যা করেছ এই
ইহকাল ভবে?


জগৎ স্বামী অধিকতর দামী
মানতে হবে তাঁকে,
বিশ্বাসী স্বাদ বুঝিবে নিখাদ
আলো দিয়েছে যাকে।


এক বিন্দু আলাকে সৃজন করে
করিলো মর্যাদাবান,
ভুলিওনা তাঁকে স্মরণ করিও
করি এই আহবান।


আসিলে একা যাবেও একা
সাথী হইবেন তিনি,
ইহ-পরকাল আকাশ পাতাল
বানাইলেন যিনি।


জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ এই
শ্রেষ্ঠ মানব জাতি,
মরণের পরেও হবেও সেরা
দিয়ে ঈমানী ভাতি।


মহাবিশ্ব পরিচালনায় একজন
মহাপরিচালক আছে,
ঘাড়ের রগ যতনা কাছে থাকে
তিনি তারচেও কাছে।


কল্যাণপুর, ঢাকা।
২২ নভেম্বর ২০২২
০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
২৬ রবিউস সানী ১৪৪৪