জাহাজের মাস্তূলে দাঁড়িয়ে
সবাই চারিদিকে তাকিয়ে
ভাবনা বিস্তৃত অপলক নয়নে ,
বিশাল নদী বাধাহীন
চলছে অজানায় ঠিকানাবিহীন ।
কে জানে সে কোথায়-
গিয়ে থামবে অবশেষে ?


নদীর অববাহিকায় বিধৌত
আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি
তাই তো দেশের মাটি ও মানুষ
অপূর্ব অতুলনীয় তুলনাহীন ।


দু'পাশে বনবাদাড় আর
হরিণ বানরের আনাগোনা
আছে গোলপাতার ছাউনি ঘর ।
শুভ্রতায় ভরা করমজল হাড়বাড়িয়া
সুন্দরতম যা হৃদয় জাগানিয়া ।
ভারী চমৎকার ! বনের গহিনে
অরন্যে ঘোরা-ফেরা ভালো লাগা
হরিণ শূকরের লম্পঝম্প দেখা ।
বাহ ! কী আনন্দ মন ছুঁয়ে যায় ।


গাছের আড়ালে আড়ালে ফাঁকে ফাঁকে
চলতে চলতে পৌঁছা সাগরের পাড়ে
গিয়ে দেখি ঢেউয়ে ঢেউয়ে দাপাদাপি
ভেসে আসে কানে উত্তাল ঢেউয়ের গোঙ্গানী ।
শুধুই মজা আর মজা সেখানে ।


সাগরের ঢেউয়ের তালে তালে
সবার মনোজগতে সেলফি তোলার
তরঙ্গ জেগে উঠে অবলীলায় ।


সবাই উম্মাদ উম্মত্ত উচ্ছ্বসিত
যেমন আজ আমাদের দেখে
সাগরো উত্তাল উম্মাদ উদ্বেলিত ।
বোধ হয় সাগর সবার প্রেমে পড়েছে সহজে ।
এতো সুন্দর ! সুন্দরতর
ভ্রমন হলো সুন্দরবন !!
এরই মাঝে বয়ে চলে
কটকা জামতলা , আরো আছে
সাগরের পাড় ঘেঁষা নয়ন জুড়ানো
পরিপাটি সাজানো কচিখালী ।


বিদায়ের বিষাদ আয়োজনে
মনে হয় সাগর হাত বাড়িয়ে
শুভেচ্ছা জানিয়ে হাত নাড়িয়ে বলছে ,
বিশ্ব কবির সেই ছন্দময় কথা
" যেতে নাহি দেব হায় , তবু
  যেতে দিতে হয় ---
  তবু চলে যায় " ...................



রচনা কাল : ডিসেম্বর ১২ , ২০১৬