রাক্ষসী এক ডাইনীর পরামর্শে
বহু কক্ষ বিশিষ্ট ঘর বানালো ।
এমনি এক কক্ষে থাকবে শাহজাদী
কেউ যেনো খুঁজে বের করতে না পারে কখনো ।


ডাইনীর এসব কর্মকান্ড দেখে
রাজা বিচলিত হয়ে পড়েন
এদিকে শাহজাদীরও দিন দিন বয়স
বেড়েই চলেছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ।


যেই দেখতে আসে শাহজাদীকে
কেউই খুঁজে বের করতে পারে না
এই সুযোগে ডাইনী বুড়িটি সবার
ঘাড় মটকিয়ে রক্ত চূষে খায় ।


অন্য রাজ্যের তিন ছেলের মধ্যে
দুই জনই শাহজাদীকে দেখতে এসে
আর ফিরে যায়নি নিজ দেশে
ঐ দুই সন্তানের জন্য কষ্ট পেলেন রাজা অবশেষে ।


ছোট ছেলেও উচ্ছ্বসিত হলো
শাহজাদীকে বিয়ে করার আগ্রহে
কিন্তু মনের ভিতর ডাইনীর ভয় তাড়া করছে
রাজা বার বার বাধা দিচ্ছে তো দিচ্ছেই ।


শাহজাদার মাথায় এক বুদ্ধি এলো
শাহজাদীকে সোনার হরিণ উপহার দিলো
সোনার হরিণ শাহজাদীকে পৌঁছানো হলো
তা পেয়ে তার মনে পরম দোলা খেলো ।


শাহজাদীর জন্য খাবার এলে তা
শাহজাদা খেয়ে ফেলে বারবার
এ অবস্থায় শাহজাদী বলল, এ কেমন কারবার ,
কে খেলো খাবার এতদিন, দেখে ফেলল এবার ।


অবশেষে দু'জনের মধ্যে নিবিড় পরিচয় হলো
ভাব বিনিময় হলো মনের মুকুরে
উভয়ে উভয়ের কারণ করলো বর্ণনা
এই বুঝি দূর হবে দুঃসহ যন্ত্রণা ।


এবার হরিণের একটি পা গেল ভেঙ্গে
ঐ রাজ্যে না পাঠালে ঠিক হবে না আদৌ
সিদ্ধান্ত হলো পা ঠিক করার জন্য
পাঠিয়ে দেয়া হলো ঐখানে ।


শাহজাদা এবার এলো বিয়ে করতে
কোন্ কক্ষে শাহজাদী থাকে সেই কক্ষ বের করবে
ডাইনীরও প্রাণ যাবে শর্তের সুবাদে ।
অনায়াসে শাহজাদীকে খুঁজে বের করলো  ।
সোনার হরিণে করে আগেই কক্ষটি দেখে গেল ।
সেদিনই বিয়ের সানাই বাজা শুরু হলো ।
সবাই ডাইনীর খড়গ থেকে নিস্তার পেলো ।