ছোট একটি শিশু বয়স সাত আট
তার নাম ইব্রাহিম।
মা তার আপন সৎ বাবা ঘরে,
হঠাৎ বাবার কাছে, একটি চিপস খেতে চায়।
আর তাতেই বাবা মা রেগে যায়
চিপস দেওয়ার নামে বাড়ির বাহিরে-
নিয়ে যায় ইব্রাহিম কে।
আর তখনি বটি দ দিয়ে বাবা!
তার একটি হাত কেটে ফেলে।
ইব্রাহিম বলছে বাবা! তুমি এ কি করলে?
আমি ভাত খাব কেমন করে?
এ বলতে বলতেই বাবা আরেকটি -
হাত কাটে তার জোর করে !
ইব্রাহিম বলছে বাবা! তুমি কেমন বাবা বল?
আমি আর কোন দিন চিপস খাবনা,
তুমি আমাকে চিপস নাই বা দিলে!
কেমন করে তুমি আমার হাত দুটো কেটে নিলে?
আমি যে আজ অসহায় হয়ে গেলাম বাবা !
তুমি আমায় জন্ম দাওনি বলে
তাই বলে আমার হাত দুটো কেটে নিলে
তুমি সমস্ত বাবা জাতীকে কলঙ্ক করলে?
আমাকে কে দিবে এখন খাবার মুখে তুলে?
একটি চিপস চাওয়ার অপরাধে
তুমি আমার হাত দুটোই কেটে নিলে।
মুখ দিয়ে বলেছিলাম বলে সেখানেও
বটি দা দিয়ে আঘাত করেছো!
বাবা! ও বাবা! তুমি কেমন বাবা বল?
তুমি হয়তো আমার জন্মদাতা বাবা নও,
কিন্ত মা! সে তো আমার গর্ভধারীনি মা!
দশ মাস দশ দিন তার পেটে ছিলাম,
সেও কেন আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলোনা ?
হে আল্লাহ তুমি কি আমার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওনা?
আমার কান্নায় কি তোমার আকাশ বাতাস ভারি হয়নি?
আমি তো এক অবুজ নাবালক শিশু।
শুনেছি তুমি নাকি অবুজ শিশুর ডাকে সারা দাও।
তাহলে তুমি কেন আমার বাবা মার হাত থেকে
আমাকে রক্ষা করলে না?
কেন? তুমি আমার সপ্নকে ধুলিসাৎ করলে?
তুমি কি আমার চিৎকার শুনতে পাওনি আল্লাহ।
আমি আজ অসহায় পঙ্গুত্ব বরন করে
পড়ে আছি হাসপাতালের বেডে।
আজও বাবা মা একটি বারের জন্যও
এলোনা তাদের ছোট শিশু ইব্রাহিম কে দেখতে।
আমরা মানুষ জাতি সৃষ্টির সেরা জীব
হয়তো আজ হারিয়ে ফেলেছি দায়িত্ব বোধ বিবেক।
কলঙ্ক করেছে সমগ্র বাবা মা জাতিকে।।