সৃষ্টিকর্তা হয়ে, এ কোন ধ্বংসলীলায় মাতলে বলো তুমি ;
ওলটপালট হচ্ছে যে বারবার --- আমাদের মাতৃভূমি ।।
মানুষ ভেবেছিলো, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ, আটতো কত সব ফন্দি,
করোনা এসে অহংকার ঘোচালো, করলো তাকে ঘরবন্দী ।
তবুও কেউ থামবার নয়, চলছে ঘরে বসেই যতো আনন্দ ফুর্তি,
অর্থনীতি গড়েছে নাকি(?), সুরার বোতলে তাই ঘর তাদের ভর্তি ।।
গ্রিন থেকে অরেঞ্জ , অরেঞ্জ থেকে রেড --- হয়ে উঠছে শহর,
অর্থপিপাসু তবুও খুঁজছে, কোথায় আছে, মনি-মাণিক্য জহর ।
দোষী হচ্ছে ঐ ঘর ফেরত শ্রমিকেরা, নাম পেয়েছে পরিযায়ী,
বুঝলো না কেউ, ঘরে না ফিরেই, কেনো হলো তারা শয্যাশায়ী ;
কেউ কেউ শেষবারের মতোও, দেখলো না আর ঘরের মুখ,
শবদেহ জ্বলে উঠলো আগুনে, চিতাতেও মিললো না সন্তান সুখ ।।
খবরের পাতা ছাপছে রোজই, আক্রান্ত-আরোগ্যের হিসাবনিকাশ ;
গোঁজামিল দিয়ে আমরা কি মেলাতে পারবো, ভাগ্যের পরিহাস ।।


মরার ওপর খাড়ার ঘা দিয়ে গেলো এসে, ঘূর্ণিঝড় আমফান ;
ভেঙে ধুলোই মিশিয়ে দিলো, সব দুর্বলের আশা-ভরসা-বাসস্থান ।।
আবার শুনছি, দলে দলে আসছে উড়ে কোটি কোটি পঙ্গপাল ;
একনিমিষে খেয়ে ফেলবে সব, শাক সবজির হবে যে আকাল ।
সূর্যদেবও নাকি বেজায় রেগে, করতে চাই নিজেকে লকডাউন ;
নিম্নচাপে বঙ্গোপসাগর, উত্তরাখণ্ডে লেগেছে আবার আগুন ।।


সৃষ্টির দেবতা, স্বয়ং তুমিই যখন সৃষ্টি ভুলে ভাঙন খেলায় মত্ত ;
উৎকৃষ্ট যারা বাঁচবে তারাই, মিলবে "যোগ্যতমের উদবর্তন" তত্ত্ব ।
মন্দির-মসজিদ-গির্জা খুলবে শীঘ্রই, সৃষ্টিকর্তা তোমার হয়েছে মুক্তি ;
বাঁচা-মরা সব তো তোমারই হাতে --- এটাই তবে বুঝি সর্বশেষ যুক্তি(?) ।।