ঝড়ের স্রোতে ভাঙলো, যা যা ছিলো সব ----
যা কিছু, সহ্য করতে পারলো না দানবীয় তাণ্ডব ;
গাছপালা, ঘরের চাল, কিছুই পেলো না রেহাই,
বুঝলাম না ভগবান, ছিলে তুমি, কার প্রতি সহায় ।।
কতো সযত্নে, চাষী বন্ধুরা সব, বুনে ছিলো ধান ---
অনেক বেশি লাভবান হবেই, করেছিলো যে পণ ;
ভেবেছিলো এবার, ঘরের চালা নতুন করে বাঁধবে,
ভাবতে পারেনি স্বপ্ন সব, মাটিতে লুটিয়ে পড়বে ।।
ঘর হীন মানুষ আছে যতো, রাস্তাই যাদের সম্বল,
ছুটে ছুটে বেড়ালো ; তারা যে পশু পাখির মতই দুর্বল ।
কুমোরপট্টির অথৈ জলে, অপ্রস্তুত প্রতিমা সব ভাসমান ;
আরাধনার আগে  বিসর্জন দিলো তাদেরও, এই আমফান ।।
ঝড় তো দেখেছি অনেক, কিন্তু এ কেমনধারা ঝড় ---
আম কুড়োনোর রঙিন স্বপ্নকেও করলো যে ছারখার ।
আম-জাম-কাঁঠাল, সব উড়লো তাণ্ডব ঘূর্ণিতে ;
পড়ে থাকলো শেষে, ছড়িয়ে রাস্তাঘাটে, মাটিতে ।।
কাঠবেড়ালিটা খুঁজেই চলেছে কোথায় বাঁধবে ঘর ;
টুনটুনির বাসা লন্ডভন্ড, পড়ে আছে শুধু খড় ।
এক দিনেই বদলে গেছে, আমার চেনা শহরের রূপ ;
ঘুম ভেঙে উঠে দেখি, চারপাশে নীরব ধ্বংসস্তূপ  ।।