১৯০ টি হাঙরের মৃত্যু জানান দিলো এক মিনিট শেষ!
আজ যে শিশু জন্ম নিয়েছে,
কোন পরিচয়ে বড় হবে সে?
নীল পলিথিনে জমে থাকা ঠান্ডা খিচুরি,
ঢাকা মেডিকেলের সামনের সাতশ টাকার টিটেনাসের ইনজেকশন,
নীলক্ষেতের ছেড়া মলাটের কার্ল মার্ক্স,
কাটাবনের খাঁচায় বন্দী বিদেশি ম্যাকাও;
কতটুকু স্বাধীনতা দিয়েছে আমাদের?
প্রতি মিনিটে যতবার আমাদের কোষ মরে যায়,
তার থেকেও বেশিবার আমরা মরে যাই,
হেরে যায়; বাড়ি ফিরি পাপের হামান দিস্তা হাতে!
এ শহরের রাতের হলুদ বাতি,
হাসপাতালের জরুরী বিভাগ,
সোহরোয়ার্দির কোন থেকে আসা ক্যানাবিসের টাটকা ঘ্রাণ,
পা চাটা রাজনীতি,
রমনার পাশে অস্থায়ী পতিতালয়,
পঁয়তাল্লিশ বছরে কতটুকু বদলেছে?
স্বাধীনতা কি কেবল চকলেট কফির কাপে?
দামি চামড়ার জুতা মোড়ানো পায়ে?
ফ্রাইড রাইস, পেস্ট্রি, ন্যাচোস, পাস্তায়?
আজ অস্থায়ী ছাউনিতে যে শিশু জন্ম নিয়েছে,
রাষ্ট্র তাকে কি পরিচয় দিবে?
রাজনীতিবিদের তর্জনীর বুকডাউন কি খাবার জোগায়?
বোকা বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা,
পঁচাশি হাজার গ্রামের মাটি,
এই পতাকা, এই মানচিত্র, এই পথ, এই ছেড়া ছাউনি,
এই পরিচয়হীন সদ্য মৃত মায়ের নবাগত শিশুকে কে পরিচয় দিবে?
কার বুকে সে আশ্রয় নেবে? কার পরিচয় আঁকড়ে ধরে বেচে থাকবে?


প্রতি মিনিটে বিক্রি হয় সাড়ে চার হাজার ম্যকডোনাল্টের বার্গার;
রেস্টুরেন্টের সামনে কাক আর মানুষ।
ওরা কি আদৌ মানুষ মানুষের চোখে?
আর কাঁচের ওপাশের শীততাপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে শুনশান শ্মশান!
তারা এতটা উপভোগ করেও কেন হতাশাগ্রস্থ?


মাত্র জন্ম নিয়েছে ১৩০ টি শিশু বুকে শ্মশান নিয়ে!
কোন স্বাধীনতা এদের স্বার্থ দেবে? বুকে দেবে হৃৎপিন্ড?
শব চলে যায় কাধে ভর করে বেনারসে;
ওপারে এপারে অনধিকার চর্চা,
আবর্জনা বাড়ে, আঞ্জুমান মফিদুলে বাড়ে বেওয়ারিশ লাশ!
এভাবে কতদূর গল্প যাবে?
মিনিটে দৌড়ে চলছে স্নায়ু সাড়ে চার মাইল বেগে,
তিরাশি গ্যালন রক্ত জোগান দিচ্ছে ফুয়েলের,
ছিয়াশি বিলিয়ন সিগন্যাল ভেঙে ছুটছে নিউরন,
কোন স্বাধীনতার খোঁজে?