আলো গুলো সব নিভিয়ে দাও


মনোরঞ্জন আচার্য্য


১৯/০৪/২০২২
"""""""""""""'"'''""""""""""""'''''""""""""""'''''"""''''''''''''"
তোমরা শুনছো? আলোগুলো সব নিভিয়ে দাও, অন্ধকারে ডুবে থাক দুটি চোখের পাতা, তোমরা কি কেউ জানো ? কোথায় আছে লজ্জা লুকানোর আস্তানা?


তোমরা কেউ আর মোমবাতি জ্বালিয়ে ওকে শুধু শুধু লজ্জা দিওনা,ওকে নিরবে ঠাকুর ঘরে জ্বলতে দাও।


এই সমাজ শুনতে পায় না হতভাগা মোমবাতির আর্তনাদ, ওকে আর তোমরা অপবিত্র হাতে ধরতে যেওনা,ওকে একাগ্র চিত্তে প্রার্থনা করতে দাও।


একদিন মমতায় পালিত হয়ে দশমাস নিশ্চিন্তে ছিল যে পুরুষ নারীর গর্ভে, সেই নারী আজ ধর্ষিতা হয়েছেন, সেই পুরুষের দ্বারা।


যে মায়ের বুকের দুধ খেয়ে একসময় নিশ্চিন্তে আঁচলের তলায় ঘুমিয়ে ছিল যে পুরুষ,
সেই মা তার হাতেই খুইয়েছেন তাঁর ফুলের মতো নারীত্ব।


তোমরা আলোগুলো সব নিভিয়ে দাও, লজ্জা ঢাকতে একটুখানি জায়গা করে দাও, আমাদের মতো হতভাগা পুরুষ গুলোকে।


বাংলা তুমি পাড়ায় পাড়ায় থাকো, দুয়ারে দুয়ারে থাকো আমার আপত্তি নেই, দয়াকরে বেডরুমে ঢুকতে এসোনা সর্বনাশ হয়ে যাবে,মা বোনদের।


রক্ষকের চোখ এখন দিল্লির মসনদের স্বপ্নে বিভোর, প্রতি ছত্রে ছত্রে তার ঔদ্ধত্যের অহঙ্কারের ছড়াছড়ি, বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে, চারদিকে মাংস পোড়া দুর্গন্ধ।

আলো দেখলে এখন বড্ড ভয় হয় আমার, লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে, নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখি বেঁচে আছি তো?


হিসাব মেলাতে পারছি না, এ কোন বাংলায় বসত করছি আমরা,আমরা যাকে বিশ্বাস করে রক্ষক বানিয়ে ছিলাম  এই কি সেই নাকি অন্য কিছু?


আর কত নারী' শিশুর রক্ত পান করে উর্বর হবে হতভাগিনী মাটির মা জননী,সবুজ হবে ঘাসের পাতা,আর কত অপরাধের বিনিময়ে নতুন ভোরের আলো দেখবে এই হতভাগা সমাজের নতুন প্রজন্ম।


দুঃস্বপ্নের রাত পেরিয়ে বৃদ্ধ পিতা-মাতা'রা আর কতকাল পর, নিশ্চিন্তে এক করতে পারবে দুটি চোখের পাতা, তোমরা কি বলতে পারো? বলতে পারো? বলতে পারো