রাত্রি, আমি তোমায় চিনি -
তুমি আমার সঙ্গ দাও আমার
বিনিদ্র বিছানার চারপাশে ,
তুমি আছো তবু ছুঁতে পারিনি কখনো ,
এক আশ্চর্য্য মায়ায় ঢেকে
রেখেছ এই জগত্ কে ,
আমি জানিনা কেনো তোমার
অন্ধকার কে সবাই ভালবাসেনা -
দিনের আলোতে ব্যাথা প্রকাশে
সম্ভ্রম জাগে ,পাছে কেউ দেখে
ফেলে দু ফোঁটা চোখের জল ,
তাই মন থেকে কষ্টটা বের হতে
চাইলেও বুকের ধুক ধুক কম্পনটা কে
অবলীলায় চাপা দিতে হয়  
আলোর প্রকটতায় আর
সেই অন্ধকারের অভাবে !
রাত্রি তুমি দেখেছ , কতো বিষন্ন
মুখ শুকনো পাতার মতো ঢলে
পড়ে দুশ্চিন্তায় ,রাত পেরোলেই
গলায় পাটা বাঁধা ঘানির বলদ -
আরো  দেখেছ , তোমায় সাক্ষী
রেখে বিরহের স্মৃতি-পাঠ হয় রোমন্থন ,
প্রস্তুত থাকে কতো
তরুণ তরুণী অনাদরে চোখের জলে
ভাসতে আলো নেভার অপেক্ষায় ,
এক মাত্র তুমিই শুনে থাকবে সেই
অস্ফুট আকুতির ঘোর প্রলাপ ,
স্পর্শ পেয়ে থাকবে ঘন ঘন
দীর্ঘ নিশ্বাসের উষ্ণ শীতল ঝড়ের ,
তুমি দেখে থাকবে কতো কাব্য প্রেমী
অন্ধকারের কাব্য লিখে চলেছে ,
কতো যন্ত্রী রাতের প্রথম প্রহর থেকে
রাগের আলাপ দিয়ে দ্বি -প্রহর ,
ত্রি -প্রহর  এই ভাবে
ডুবে থাকে সুরের মদিরায় -
রাত্রি তুমি ক্লান্ত রিক্ত প্রাণের
শান্তির আশ্রয় ,
তুমি দিনের অভিশাপ নও -
তুমি নেভানো দীপের ,
সহস্র ক্লান্ত প্রাণের আশ্রয় আধার l