কাল কাজলের কালো মেয়েটা যে,
কালি মাখা সংসারে।
ভালবাসা চেয়ে ফিরে আসে শুধু,
ব্যথা নিয়ে অন্তরে।
শ্বশুর বাড়িতে কেউ যে  বাসেনা,
বউটা রে  এতো  ভালো।
দে মাগে সকলে আরে পাশে চায়,
বলে  শুনি  নাই  আলো।
দেবরে ভাসুরে  ননদ ও জায়েরা,
অবহেলা দিলে ছুঁড়ে,
সব কথা নেয় আঁচল পাতিয়া,
ভালবাসা দেয় ফিরে।
দিবস ও রজনী খেটে খেটে বউ,
মন জিতে নেয়  কারও,
কাজের উপরে কাজ করে তবু
মাঝে মাঝে খায় মারও।
সহসা হাসিতে ভুলে গিয়ে সব,
মেতে যায় আবার কাজে।
নিরবে গড়ায় আঁখি ভরা জল,
কেউনা দেখিতে আসে ।
বাবা যে তার কবেই  মরেছে,
দু বছর হয়েছে মা,
ধরনীর বুকে কেউ  না বাঁচিল,
মেয়েটি হয়েছে একা।
হঠাৎ বধূ কি জানি ভাবিয়া,
নিরব নয়নে চেয়ে।
নিথর কাচের দেয়ালে সে যেন,
আঁখি জলে যায় নেয়ে।
সেবার মেয়েটি অসুখে পরি লো,
আর যে ওঠেনি সেরে।
কত না বেদনা ভুলে গিয়ে সে যে,
পারি দিলো পরপারে।
কালো কাজলের কালি বলে কেউ,
বাসেনি ক্ষাণিক ও  ভালো।
বুঝেও বুঝে না কালো মেয় টি যে,
আন্ধারে ছিলো আলো।