ভালোবাসার কবিতা লিখতে গেলে আজকাল হাত কেঁপে উঠে, বুকের ভেতর মনে হয় একশোটা হাতুড়ি পেটা হচ্ছে।
ইমারত গুলো ভেঙে ঝুরঝুরে মাটিতে মিশে গেলো,
যেনো এ জায়গায় কিছুই ছিলো না, অথচ
এখানে ছিলো একটি পার্ক, বয়স্ক কিছু গাছ
দূর দেশ থেকে উড়ে আসা এক ঝাঁক অচেনা পাখি-
সংসারের বর্ণমালা গুলো তাদের ঠোঁটে উচ্চারিত হতো গুলিস্তানের ঘড়ি বিক্রেতার মতো,,,
এক দাম একশো।।


ভালোবাসার কবিতা লিখতে গিয়ে কলমের নিব বেয়ে নেমে আসে রক্ত ; ভিজে যায় কবিতার ক্যানভাস। শুনেছি রক্ত আর ভালোবাসা নাকি
দুটোই পরস্পরের বিপরীত উল্লাস।


ভালোবাসার কবিতা লিখতে গিয়ে আজকাল আমি
গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই, এতো নিচে নেমে যাই যে!
মনে হয় পৃথিবী অসীম এক গর্ত, মায়ের গর্ভ থেকে
কে যেনো ছুঁড়ে ফেললো আমায়-
আমি তলিয়ে যাচ্ছি, তলিয়েই যাচ্ছি
গভীর অন্ধকার!
মাঝে মাঝে কিঞ্চিৎ আলো এসে কানে কানে বলে
এইতো আর কিছুদিন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করো।
ঘুম ভেঙে গেলে বুঝতে পারি মৃত্যু এসেছিলো
হাতে  বর্ণিল আলো।


ভালোবাসার কবিতা লিখতে গেলে
আমার হাত কাঁপে, বুক কাঁপে
চোখে জলের বান ডাকে
আমি নিঃশ্বাস নিতে পারিনা,আমি বাঁচতে পারিনা
ভালোবাসা সুন্দর আমি ছুঁতে পারিনা।