দুঃখগুলো কেমন যেনো শর্ষে ফুলের মতো জেগে উঠে সূর্য্যের উত্তাপে।
এরপর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে - প্রতিধ্বনিত হয় দূরে উঁচু বহুতল ভবনে।


সকালে ডিমের কুসুমের মতো সূর্য্যের সাথে ওরা পৃথিবীতে নেমে আসে গোপনে।
যে যতো খানি দুঃখ কিনেছে মেপে মেপে তার বাসার সামনে কড়া নাড়ে।
অথচ এতো সকালে হকারও আসেনি নরম গরম চটপটে খবরের কাগজ নিয়ে।


শুধু দু চারজন সিটি করপোরেশনের কর্মী রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে। ধূলো উড়ছে।
সারাদিন অমুক তমুকের কাঁধে ভর করে ক্লান্ত হয়ে দুঃখরা গভীর রাতে বাড়ি ফিরে।
শাসিয়ে যায় - আবারো কাল ফিরে আসবে।


দুঃখদের কোন অফ-ডে নেই। নেই কোন কর্ম বিরতী।
দুঃখরা বুড়ো হলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে আসে সেই দুঃখীত
মানুষটির কাছে। এবার আর কাঁধে চড়ে না।
পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটে।
একে অপরকে শুনায় তাদের দুঃখীত জীবন কাহিনী।


শেষমেশ বিক্রি-ভাট্টা শেষ হলে -
মানুষটিকে যখন মৃত্যু দূত হাতে হাতকড়া পড়িয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়,
দুঃখদের পিঠে তখন পাখনা গজায়, তারা উড়ে যায়।
ফিরে আসেনা।
এতোদিন যার কাঁধে ভর করে হেঁটেছে তার জন্য মন পুড়ে। দুঃখরাও কষ্ট পায়। কেউ জানেনা।


তাদের আর্তনাদ নিশুতি রাতে মাঝে মাঝে শুনা যায়।


দুঃখরা-ও দুঃখীত হয় তবে মানুষের মতো অভিনয়ে নয়।