তোমার ঐ জামরুল ঠোঁটে চুমু এঁকে দেয়, যদি
এক তৃষ্ণার্ত প্রেমিক। কি করে তাকে অগ্রাহ্য করবে! জামরুল ঠোঁটের মালিক।
তুমি কি মামলা ঠুকে দিবে আদালতে?
শাস্তি হবে!
চুমুর দায়ে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে তার কি ফাঁসি হবে?
নাকি কাটিয়ে দিতে হবে জীবন, কনডেম সেলে।
প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় উৎসুকে নিউজ ছাপা হবে, চুমুর দায়ে সামনের বিষ্যুদবারে ফাঁসিতে ঝুলে যাবে একটি প্রেমিক দেহ।
যদি তাই হয়, তবে দেখে নিয়ো।


রাস্তায় রাস্তায় কারফিউ জারি হবে, ফুলেরা সব বিক্ষোভে ফেটে পড়বে।
প্রজাপতিরা নিজেদের ডানা খুলে ঘুড়ি উড়িয়ে দিবে আকাশ পথে, জানাবে বিদ্রোহ।


তোমাকে চুমুর দায়ে যদি ফাঁসি হয় এক প্রেমিক দেহ,
তবে দেখে নিয়ো জামরুল ঠোঁটের প্রেমিকা।
সেদিন দুপুরে অন্ধকার করে শহরময় নেমে যাবে বৃষ্টি ভিজে যাবে ছাঁদে শুকাতে দেয়া তোমার গোলাপি রঙের শাড়ি।
দাঁড়িয়ে থাকা সকল ইটের দেয়াল, এক হয়ে গাইতে থাকবে বিয়োগান্তক জারি।
শহুরে সমস্ত কাক শীতল চোখে আত্মহূতি দিতে যাবে বংশাই এর পাড়ে, সেই বিষ্যুদবারে।


এবার ভেবে দেখো,
তোমার জামরুল ঠোঁটে চুমু খায় যদি এক তৃষ্ণার্ত প্রেমিক।


কি করবে তুমি?


মামলা ঠুকে দিবে আদালতে!
নাকি,জামরুল ঠোঁটে মিশিয়ে নিবে এক জোড়া ঠোঁট।
যার উতপ্ত বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রেমের স্মৃতি সৌধ।