সঙ্গমের আগে তুমি বলেছিলে - কবি,
আমায় তোমার স্মৃতিচিহ্ন দাও।
আমার গর্ভে তুমি লিখে দাও তোমার যাবতীয়
সুখ - ঐশ্বর্য।
আমি আমার সবটুকু বিলিয়ে দিয়ে লিপ্ত হলাম সঙ্গমে।
সেই আদিম নিয়ম কানুন মেনে।
আমি হয়ে গেলাম বন্য আর তুমি হলে
সুশীতল সবুজ অরণ্য।
আমি তোমাকে ক্রমশ গ্রাস করছি
অমাবস্যার গ্রহণের মতো।
আমি আলকাটা লাঙলের ফলা দিয়ে চষে বেড়াই তোমার জমিন জুড়ে...
তোমার লজ্জাবতী মন নুইয়ে পড়ে পৌষের শিম গাছের মতোই মাচায় আঁকড়ে ধরে।।


অবশেষে তোমার ভেতর প্রবেশ করে কবিতা, অন্ধকার গুহার প্রবেশ দ্বার উন্মুক্ত করে সে বড় হয়।


তোমার শরীরের বেড়ে উঠে কবিতা।
এখন তুমি কবিতার জননী,কবিতার নাম লালন।
আমার ঔরসজাত সন্তান,আমাদের লালন।