একটা দুপাতার চিঠি এসেছে সেদিন।
নাম -ঠিকানাহীন এক নীল খামে;
অস্পষ্ট আর বিদঘুটে অক্ষরে।
চিঠির শুরুতে লেখা ছিল,
'ভ্রান্তি ভুলে, ছড়িয়ে মূলে একাকীত্ব ছেড়ে;
বাঁধন চিনে, আপন গুণে ফিরতে চাই নীড়ে!'
কথাটির মানে বুঝেনি নীল আর নীলু।
চিঠির নামহীন নীলখাম আর কথা বিস্ময়কর!
পুরো চিঠি জুড়েই ছিল এক অজানা বিস্ময়।
দ্বিতীয় পাতার শেষ কোণে একটি শব্দ 'আমি'!
নীলুর মুখে মুচকি হাসি আর দুফোঁটা আনন্দজল।
নীল হতভম্ব আর বিহ্বলে আবদ্ধ!
চিঠির প্রত্যেকটি শব্দ এখন পরিচিত লাগছে।
ভাবনাকে ছাড়িয়ে এই চিঠির আগমন!
এটা যে তাদেরই কথা! নীল আর নীলুর স্মৃতিকথা!
পাঠক ছিল নীল, নীলু! প্রেরক ছিল অজানা!
নীল-নীলুকে জানে শুধু মুক্ত ঐ আকাশবীণা!