ইট পাথরের সাজানো ব্যাস্ত শহরের
চার দেয়ালের বন্দি জীবন মুক্তি পেতে
আমার অবুঝ মন ফিরে যেতে চায়, রূপসী বাংলার
সবুজ শ্যামল পল্লীগাঁয়ের পণ্যে ভরা লোকালয়ে।
যেথায় মুক্ত আকাশ, হিমেল বাতাস,
চির সবুজের দিগন্ত পল্লীগাঁয়ের
প্রকৃতির মাঝে মিলেমিশে হয় একাকার।‌
যেখানে পল্লীমায়ের আঁচলে বাধা আছে
শৈশবের হারানো মধুময় স্মৃতি
আউল বাউলের সুমধুর কন্ঠের প্রেমময় গীতি।
পল্লীগাঁয়ের পল্লীমায়ের মুখের মিষ্টি হাসি
বটবৃক্ষের ছায়া তলের পরম সুখে ঠিকানা
দিবানিশি রাতে মা-বাবার সাথে
মিছে মিছে খুনসুটি আর বাহানা।
ভোরের শিশিরভেজা দূর্বাঘাসের গন্ধ রেশ
ধেনুচারণের রাখালীয়ার বাঁশির বিমোহিত সুর
পাখ-পাখালীদের সুমধুর কলরব
মাঝি ভাইদের জারি সারি আর ভাটিয়ালি গান।
অকুল দরিয়ার জলতরঙ্গের উত্তাল কলতান
তিমির রাত্রের শিয়ালের ওই আর্তনাদের হাঁক
লাল–নীল প্রজাপতি আর মৌমাছির সুমধুর গুঞ্জন‌।
পলাশ,বকুল ফুলের বিমোহিত সৌন্দর্য
হেমন্তের শিশিরভেজা শিউলিফুলের আঁশ।
দাদুর কাছে শুনা সাত ভাই চম্পার রূপকথার গল্প
পূর্ণিমা রাতের রূপালী চাঁদের জোছনা বিলাসিত সেই রাত।
এমন অপরূপ রূপসী বাংলার পল্লীগাঁয়ের সুখ পেতে
আমার অবুঝ মন পল্লীগাঁয়ে বারবার ফিরে যেতে চায়‌।