গ্রাম বাংলার রূপ দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
সবুজ-শ্যামল রূপের ঘেরা পল্লী গাঁয়ে যাও।
পল্লী গাঁয়ের কাঁদা মাটির গন্ধের আছে রেশ,
গাছ-গাছালি তরুলতার রূপের নেইতো শেষ।


যেথায় পাবে পাখ-পাখালির কলরবের প্রাত,
পূর্ণিমা চাঁদের জোছনা ছড়ানো আলোকিত রাত।
বাউলের কণ্ঠের মন মাতানো মিষ্টি মধুর গান,
কৃষক ভাইদের প্রাণ জুড়ানো শিশির ভেজা ধান।


বারো মাসের মিষ্টি পাকা ফল-ফলাদির ঘ্রাণ,
বর্ষাকালের ব্যাঙের রানীর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর গান।
ঋতু বসন্তের কোকিলের কণ্ঠের মিষ্টি মধুর ডাক,
নিঝুম রাতের আর্তনাদের শিয়ালের ঐ হাঁক।


ধেনু চারণের রাখাল রাজের মোহন সুরের বাঁশি,
পল্লী গাঁয়ের পল্লী মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি।
ভাটির টানে ভাটিয়ালি সুরের মাঝি ভাইদের গান,
স্রোস্তস্বিনী নদীর জল তরঙ্গের উত্তাল কলতান।


পল্লী মায়ের আঁচল তলের আরাম আয়েশের সুখ,
পল্লী মায়ের প্রাণ জুড়ানো মায়াবী রূপের মুখ।
সবুজ-শ্যামল মাঠের ফসল ধানের গন্ধের রেশ,
পল্লী গাঁয়ের রূপ কুমারীর কাজল কালো কেশ।


হিমেল হাওয়ার দোলায় দোলা শুভ্র সাজের কাশ,
সুবাস ছড়ানো কদম কেয়া শিউলি ফুলের আঁশ।
রংধনু সাত রঙের সাজের নীল আকাশের বেশ,
পল্লী মায়ের পল্লী গাঁয়ের রূপের নেইতো শেষ।