সুপ্রভাতে পুব দিগন্তের আবহমান রক্তিম আভা বর্ণে,
উত্তপ্ত প্রজ্বলিত কিরণ যখন পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যায়।
হেমন্তের পড়ন্ত বিকাল গড়িয়ে হেরি সন্ধ্যার দূর গগনে,
ধূসর বর্ণের আঁধার ঘনিয়ে আসে স্তব্ধ গোধূলি সন্ধ্যা বেলায়।


গোধূলির দূর ঐ নীলিমার ললিত আবছায়া রক্তিমা আকাশে,
ঘন কালো ধূসর বর্ণের মেঘ বালিকার বিষণ্ণতায় ছেয়ে থাকে।
চারিদিকে স্তব্ধতাময় ধূসর বর্ণের গোধূলি সন্ধ্যা নেমে আসে,
নির্জন নিরালয় জন শূন্যহীন ধু ধু তপ্ত কান্তার মরুর বুকে।


বেলা শেষে আনন্দদায়ক দিবস গুলো আজ হারিয়ে,
একাকীত্ব নীরব হয়ে রাতের আকাশ পানে চেয়ে থাকি।
বিষাদী মন মৃদুল বাতাসের পরশ পেতে ভুবন ছাড়িয়ে,
পাখিদের ডানা মেলে আকাশ ছুঁতে চাই স্বপ্নময় দুটি আঁখি।


সূর্যের লালচে আলো যখন দিনের শেষে বিলীন হয়ে যায়,
বিস্ময় হয়ে চেয়ে দেখি পাখিরা ফিরছে ঝাঁকে ঝাঁকে আপন নীড়ে।
অতীতের স্মৃতি মিলাতে গিয়ে দেখি কতকাল কেটেছে অবহেলায়,
তখন গোধূলি লগ্নে হারানো স্মৃতি গুলো বারবার মনে পড়ে।


অপরূপ স্মৃতিবিজড়িত হেমন্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য রেখে!
মায়াবী অবুঝ মন একাকী যেতে চাই না আপন নীড়ে।
চির অচেনা ভুবন ছেড়ে যেদিন বিদায় নেব হাসি মুখে,
সে দিন আর আসিব না ফিরে হাজার জনতার ভিড়ে।