অসহ্য যন্ত্রণা বুকের মাঝে রেখে শেষ গোধূলি লগ্নে,
আজ আমি দাড়িয়ে আছি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
বিভোর হয়ে চিন্তায় মগ্ন আমার পূণ্যহীন শূন্য হৃদয়‌,
হয়তো কয়েক ঘন্টা পর পৃথিবী থেকে নেব চির বিদায়।


থাকবে না আর আমার জীবনের কোন চিহ্ন এই দুনিয়ায়,
অতীতের স্মৃতি গুলো তখন বারবার আমাকে কাঁদায়।
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মনে পড়ছে শৈশবের স্মৃতি,
বাবা মায়ের শাসন আর স্নেহ,ভালবাসা,প্রেম-প্রীতি।


রূপসী বাংলার পল্লী গাঁয়ের ধুলাবালি আর কাঁদামাটি,
যে কাঁদামাটির পরশ পেয়ে দেহ হয় সোনার চেয়ে খাঁটি।
চির সবুজের অপরূপ বরেণ্য ভূমির পল্লী গাঁয়ের মেঠো পথ,
যে মেঠো পথের বুকে যুগ যুগ ধরে চলেছে মহাযাত্রার রথ।


মনে পড়ছে প্রজাপতির পিছু পিছু ছুটে যাওয়ার স্মৃতি,
পল্লী গাঁয়ের আউল বাউলের কন্ঠের মিষ্টি মধুর গীতি।
মনে পড়ছে পুতুল খেলার সাথীদের সাথে অভিমানের কথা,
দিন রজনীতে দুখিনী মায়ের সাথে উৎপাত খুনসুটির কথা।


মনে পড়ছে কত ভুল বোঝাবুঝি আর ভাই-বোনের খুনসুটি,
দাদুর হাত ধরে শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের উপর হাঁটাহাঁটি।
ঋতু বসন্তে কোকিলের কন্ঠের সাথে সুর মিলানোর কথা,
প্রিয় মানুষের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর প্রতারণার ব্যথা।