তুমি ভালোবাসার ধুম্র ইতিহাসের কবিতা হয়ে ঘুমিয়ে থাকো,
আমার ডায়েরীর প্রতিটি পৃষ্ঠার পাতায় পাতায়।
তুমি ভালোবাসার নির্লিপ্ত আবদ্ধ চোখে স্থিতু প্রগাঢ় অমানিশা,
তুমি বৈশম্যের শতাব্দীর জমাট অন্ধকার হতে বহমান অতীতের গান।
তুমি ভালোবাসার এক একটি পত্র পল্লবের
এক একটি ধুম্র শ্রেষ্ঠত্য ইতিহাস,
তুমি ভালোবাস কখনও জলে কখনও স্থলে কখনও বা মায়াজালে খেলা করে।
তুমি আমার প্রতিটি আঙ্গুলের ডগায় ডগায়, প্রতি তন্ত্রীর লৌহকনিকায় নীলাভ শিরায় ....
ভালোবাসার ধুম্র ইতিহাসের পাতাটি উল্টাই, আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই
অবিশ্রুত ভালোবাসার পেলব অভিমানের
বিষাদীয় সঙ্গীতের সূর গুন গুন। কোমল গান্ধার জেগে ওঠো তুমি
চোখ মেলো ঘুমপূরীর রাজপুত্র,
সোনার জীয়ন কাঁঠি জাগে শিওরে তোমার...
তোমার ললাটে ছোঁয়াই তপ্ত অধর
পরম আদরে শোনাই গল্পকথা জ্যান্তব রুপকার বন্দী রাজকন্যা।
দৈত্যি দানো সাত সমুদ্র তেরো নদী
মন্ত্রমুগ্ধ মোহাবিষ্ঠতায় অবাক চেয়ে রও তুমি, বিশালতা পলকহীন মুগ্ধশ্রোতা! হরতন চিড়েতন রুহিতন
তাসের খেলাঘরে প্রতিষ্ঠা পায় প্রাণ পৌত্তলিকা।
আমি তোমার শব্দজ্যোসনায় দৃষ্টিদান করি,বাঁধি মায়াহরিণীর প্রেমে
উতল ভালোবাসায় গাঁথি মালা অমরাবতী শ্রান্তিহীন অবিরাম।
অদল বদল রৌপ্য ঘুমকাঠি পুনশ্চ পূণর্বার
দীঘল শীতার্ত রাত্রী অলস দুপুর অথবা ঝুম বর্ষন সন্ধ্যা,
তুমি কবিতা হয়ে ফের ঘুমিয়ে পড়ো আমার ডায়েরীর নক্সীপাতার ভাজে।
বন্ধ মলাটে জাগে স্মৃতির মেলানকলিয়া অনিদ্র নীলকন্ঠী বালিকার মৌন মনিহার!!!