ভ্রমণ যাত্রা গিয়েছিলাম আমি রাণীর দিঘী
কুমিলা জেলার ভিক্টোরিয়া কলেজে,
দেখেছি কত তরুণ - তরণী বসে আছে
রাণীর দীঘির দুই পাড়ে।
কিছুক্ষণ লক্ষ করে দেখেছিলাম
তরুণ - তরুণীরা রাণীর দিঘীর দুই পাড়ে বসিয়া,
করিতেছে গল্প হাসিয়া -হাসিয়া
চারিদিকে শুধু কলরব আর কলরব।
এই জনপদে, নেই কোন শ্রান্ত সময়
আমিও গিয়ে বসেছিলাম তাহাদের-ই মাঝে,
যেখানে বসিয়াছিল প্রিয় কবি নজরুল৷
তার পরে উঠিয়া আমি
চারটি পাড় করিলাম ভ্রমন,
এমন সময় কে যেন বলিতেছে
আসিতেছে-আসিতেছে,অস্ত্র হাতে ঐ যে বীর“র দল।
চোখের পলক না পড়িতেই ছুটা-ছুটি
করিতে লাগলো ছাএ-ছাএীর দল৷
হঠাত্ করে কে যেন বলিতেছে (কবি নজরুল)
যেওনা বীর“ দলে৷
দাঁড়িয়ে থাকো তোমরা তরুণ
দুই বাহু বিস্তার করে ৷
তখন তারা (বীর দল)বলিতেছে অস্ত্র হাতে আসিয়া
তোমরা কেন দাঁড়িয়ে আছো দু বাহু বিস্তার করিয়া৷
তখন আমরা (তরুণ) বলিলাম
কবি নজরুলের প্রাণ (রাণীর দীঘির পাড় ),তোমরা করিওনা লাল
তাহলে আমরা (তরুণ) চালাবো বিদ্রোহের খঞ্জর
বলিল তারা (বীর“ দল) চালাও তবে তোমাদের বিদ্রোহের খঞ্জর
এমন সময় আমরা (তরুণ) সবাই পড়িলাম ঝাঁপিয়া
ছুটা-ছুটি করিয়া তারা (বীর“ দল) গিয়াছে পালাইয়া৷
কুমিলা ভিক্টোরিয়া কলেজের এই আভাস দেখিয়া
কবি নজরুলের রাণীর দিঘী চোখে আসিতেছে ভাসিয়া।