=
এক-বার আকাশ-টা
পূর্ণিমা'র আদর কামিয়েছিলো ।
তার-পর অমাবস্যায় ঢেকে গেলো-
পুরো-টা গলুই, যান, হাওয়া, রংধনু, মেঘ !


এই অগ্রাহায়নও কেটে যাবে-
ফসলে'র বরাত ছাড়া ।
শীত-ফুল-গুলো এবারও
স্ট্রাইক করবে বোলে-
বিজ্ঞাপন টানিয়ে রেখেছে,
সেই বিগত বছর-গুলো'র আড়ে'র মতো ।
বৃষ্টি সরে গেলে-
রোদে'র টাটকা খোলা-
উপন্যাস পড়ি, আমরা সবাই ।


কিন্তু- এই-খানে, এই-কোণে
প্রেমে'র সুবেহ, দুপুরে'র নৌকোয়-
তরী বায়-নি কখনো !
এই-খানে দেহে'র ভাত
চুলোয় ফুটে, মনে'র নয় !
ফকিরে'র কুড়োনো চালেও
হৃদয়ে'র অনু-প্রবেশ ঘটে ।
শাহী ঘাটে'র জলজ ধারা-
উত্থাপন না হওয়া'ই ভালো,
তা-তে বৈরাগ্য কমে থাকে ।


বাসরে'র ফুল-গুলো বকেয়া'র
ঘাটে পরে থাকে, থাকুক ।
হলুদে'র স্ফূর্তি বয়ামে'র
আবাস জড়িয়ে খাক হয়, হোক ।
আবেগে'র ঘরে আর- নেই,
বসুন্ধরা স্থাপনে'র সোহাগ ।


এখন বিনা পয়সা'র জবায়-
চোখে'র ভ্রমর বিলাই ।
ভালোবাসা'র আশা'র বুকে,
আর- মুখ না গুঁজাই ।
চলমান স্রোতে'র গায়-
গা মিশিয়ে, জীবন বাঁচাই ।
জোরে'র কুমড়ো ফুলে-
ভাজি খাওয়া'র শখ যে- নাই ।
শোকে'র বিছানায়- মাথা গুঁজে,
কান্না'র স্তবক না বানাই ।
জীবনে'র সব ঘ্রাণে, মধু-
না গড়ায় জোনে, মনে-রে বুঝাই ।।
=
ম. প্র. (০৫-১১-২০২১)
=