=
জন্ম হতে, বুঝতে শিখে-
বাবা'র অনবদ্য পেয়ার দেখেছি ।
এক-টু-খানি কেঁদে উঠলে,
বাবা'র হাতে'র সোনার পরশ পেয়েছি ।
দিন-গুলো সব- মহব্বতে'র নৌকোয় চড়ে,
জীবনে'র পাড় ধরে-ছিলো ।
কিশোর বয়সে'র আবদার-গুলো হয়-তো
অর্থ-সংকটে ব্যর্থ'ই ছিলো !  
বাবা'র মুখে'র নরম কথায়- না পাওয়া-গুলো
পাওয়া'র নিমক ছেড়ে'ই দিতো ।
এক নিমেষে'ই কান্না-গুলো টেক্কা-চালে,
আনন্দে'র রৌদ্র-ভরে'র জমিন হতো ।
সম্ভবতে'র শরীর ধরে- বাবা'র হাতে, হাত রেখে-
ভ্রমণ হতো- নির্ভাবনা'র যতো ।
পুলিশ ফাড়ি হতে, বাসায় হেঁটে'ই আসতো-
আমাদের মনোয়ার মাঝে, তৃপ্তি যোগাতো ।


এমন স্নেহে'র পরশ-মাখা দিন-গুলো সব- মরে'ই গেলো,
বয়স আমার-পঁচিশ সারলো ।
হঠাৎ যেনো- আচানক সাজানো মনোবৃত্তি'র ঘরে,
গুটি-পোকা'র আক্রমনে'র জোয়ার এলো !
মমত্বে'র পাহাড়-টা দিনে দিনে, ভেঙে ভেঙে, খুচরো হয়ে-
বিষাক্তে'র সর্পীয় ফণা হলো ।
বাবা আর- বাবা রইলেন-না, যেনো- হয়ে উঠলেন,
সহানুভূতি'র বিপরীত মন্ত্রে'র যোজক !
পদে পদে উল্টো-স্রোতে'র জল মিশিয়ে-
জীবনে'র পথ-গুলো করেছেন, পিচ্ছিল হীন-রঙা রূঢ়ক !


বিশ-টি বছর কেটে'ই গেলো-
ফিরতি রঙ-বাহারে'র শোধন কার্যে, সোশ্যোল প্রলেপ হতে হতে ।
ফিরলেন-না, প্রবীণতা'র শেষ বিকেলে'র সূর্য ডোবা'র লালে,
লাল মিশিয়ে- স্নেহে'র নিউটন হতে ।
তবু- বাবা আমার কাছে, পুরো'ই বাবা,
শ্রদ্ধা-সম্মানে'র অ-তুল বাবা, বিশ্ব-বাবা-দের গণ্ডি হতে ।।
=
ম. প্র. (০৭-০৯-২০২১)
=