=
কেনো যে- চেয়ে থাকো, তুমি বারবার- আমার'ই পানে?
কতো-বার বলেছি, আমি এমন- কিছু নই,
যা- তুমি, তোমার- নিস্প্রভ চোখে'র,
চেতন-হারা দৃষ্টি দিয়ে- দেখতে চাও৷
আমি বর্ষা'র বৃষ্টি-তে, ভেজা- ব্যাঙে'র ডাক নই৷
আমি লুসাই পাহাড়ে'র পাদদেশে, আটকে পড়া- কুয়াশা নই৷
আমি রাস্তা'র পাশে লাগানো, গাছে'র লতা'র,
পথে'র মধ্য-খানে এসে, ঝুলে পড়া- আগাও নই৷
আবার- পথচারী'র মনস্ক, অথবা- অন্য-মনস্ক
জাগতিক পরিভ্রমে, মাথা ছিড়ে নেওয়া- লতা'র শরীরও নই৷
তবু- তোমার দৃষ্টি বি-ভ্রম ঘটে-না, কোনো-কালে'ই!
আমি-তো বলেছি, আমি চন্দ্র-মূখী ফুলে'র-
খোঁজে, বের হওয়া- কোনো অভিযাত্রী নই৷
দীঘি'র জলে'র ছোটো ছোটো ঢেউয়ে,
আলো'র ঝলক- মিশে গিয়ে,
যে- সোনালী হিরক-খন্ডে'র মতো-
জলীয় বুদবুদে'র উদ্ভব ঘটে,
সে জাতীয় কিছুও নই৷
আমি-তো বন্যা'র জলে, শরীর ডুবিয়ে রেখে,
মাথা তুলে রাখা- শাপলা ফুল নই৷
আমি-তো ঘরে'র পাশে, লাগানো-
গাছে'র একেবারে গোড়া'র দিকে,
ঝুলে থাকা কাঠালও নই৷
আমি টাইটানিক ছবি'র নায়ক-
লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও নই৷
আমি শুধু- কবি৷
কবি-দের থাকে-না, কোনো- নারী'র রূপ আসক্তি৷  
তবু- তুমি আসক্তি ভরা- দু নয়নে,
চেয়ে থাকো- অলীক অসতী কামনায়৷
আমার ছবি- তোমার হৃদয়ে, মায়া'র অপ-ছায়া!
তুমি চেতনায়- ফিরে এসো,
এতে'ই তোমার- মঙ্গল, ইজ্জত-পুরা৷
দৈবে, যেমন ছিলে, সতী নারী'র তিলক পরা৷৷
=


রচনা-সময়- ২২/০৭/২০১২
=
মার্জিত রূপ- সংস্করণে৷
=