=
পৃথিবী'র চরাচরে, নিজে-কে যখন- সমর্পিত করলাম-
মায়ে'র নাড়ি ছিড়ে, ভালোবাসা'র আচ্ছাদনে,
নিজে-কে স্বার্থক মানদন্ডে'র রেখায় চালিত করেছিলাম-
বোলে'ই এতো-কাল মনে হয়েছিলো৷
আজ সেই ভালোবাসায়- নিশ্ছিদ্রে'র জাল অতিক্রম-
করতে করতে, বে-সুমা'র দীর্ঘশ্বাস বাসা বেধেছে৷
অ-জানা অ-শোভন ভাব-মূর্তি নিশ্চিহ্ন করেছে,
জীবনে'র বাস্তব- প্রাপ্তি'র সীমা-রেখা৷
মায়ে'র নিপুণ ভালোবাসা'র আবেগ ছোঁয়া-
রূদ্ধতা'র করাল গ্রাসে, নির্মিলিত এখন৷
অ-বুঝ চেতনা'র ফলাফলে, আজ সূর্যে'র আলোয়-
ছড়ানো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধি'র পর্যাপ্ততা-
শরীরে'র মাংস-পিন্ডে'র সাথে যোগ সাজসে,
বিরূপ প্রতিক্রিয়া'রই জানান দেয়- অন্তর-বাহির৷
আচরণে'র বহিঃপ্রকাশ- সামনা-সামনি'র উপঢৌকনে,
মার্জিত পরিসীমা'র নিঅভাব চক্ষু-গোচরে'ই, ভাবনা'র পৃষ্ঠদেশে৷ অথচ-
দূর সীমারেখায়- সেই আচরণ হয়ে ওঠে,
ভালোবাসা-হীন মায়া-বর্জিত তিক্ততা'রই ফসল৷
জ্ঞানে'র সু-দীপ্ত পর্যালোচনায়- এতো-কাল পৃথিবী'র ছায়া-পথে,  
মায়ে'র ভালোবাসা-কে'ই জেনে এসেছি, অ-কৃত্রিম, অ-পরিমেয়৷
আজ আপন বাস্তব অভিজ্ঞতায়- এই ধারণা'ই স্পষ্ট হয়-
আমার মায়ে'র আদর-স্নেহ, এই পৃথিবী'র শিক্ষা-বর্জিত,
শীর্ণ প্রতিবেশ আবহে'র নিস্প্রেষনে অনাদরে'র চাদরে;
অব-মূল্যায়নে'র পরিভ্রমে, ঢাকা পড়েছে৷
তবুও-
বুদ্ধি-শীলতা'র আবেশে, মায়ে'র প্রথম জীবনে'র ভালোবাসা-কে, আকড়ে ধরে স্মৃতি'র পাটাতনে, সকল অযাচিত ভাবনা'র বিষয়-গুলো-কে, তুচ্ছে'র বন্দরে ফেরি করিয়ে, নির্ভেজাল ভালোবাসা'র প্রাপ্তী-কে'ই সমন্বত রাখবো-
উচ্ছাস, উদগমে আজীবন সর্ব পরিসরে সর্ব পরিজ্ঞানে৷৷
=


রচনা-সময়- ২৩/০৮/২০১২
=
মার্জিত রূপ- সংসকরণে৷
=