=
দিব্যি কেটে, বলতে পারি-
মানুষ এখনো- ভেড়া'র ভ্যা' হয়ে যায়-নি৷
শুধু- ধরিয়ে দিলে'ই হয়- সত্যে'র চাকা৷
ধারা-গত প্রচলন গতি-তো থাকবে'ই৷
এ-তো বীজে'র প্রজননে'ই হেঁটে বেড়ায়৷
কালে'র অনির্বাণ শিখা- হাত বদলায়, এর'ই মাঝে৷
প্রভু সাজা'র খেয়াল সবাই-কে, অনুভবে মজিয়ে রাখে!  
মোহনা'র দেখা- ইলিশে'র ভাগ্যে'ই জোটে৷
প্রতিযোগীতা'র স্থানীকরণ ক্যামেরা বন্দি হয়৷
অবশিষ্ট-রা চারা না গজানো, পরিত্যক্ত বীজে'র মতো'ই;
ভূ-তলে চাঁপা পড়ে, মাটি'র অঙ্গ হয়৷
খরায় পড়ে থেকে, বিশ্ব করবো- জয়,
তবু- এদের'ই মুখে'র ভাষণ থাকে!
মিথ্যে'র আবরণ খুলে,
সত্যে'র মালা পরাতে হয়, সুধী-জন-দের'ই!
রান্নায় ব্যবহারে'র আগে, পেঁয়াজ যেমন-
অনায্য খোলস থেকে, মুক্ত করতে হয়৷
আমিও পেরেছি, তা- হাজার মাইলে'র
তেড়ে আসা- টাইফুন ঝড় অতিক্রমে৷
যদিও তা- স্থান-গত কলুষতা'রই ভিত্তি৷
শহরে'র অভিজাত, আর- গ্রামে'র নগ্ন কুটিরে'রই দ্বন্দ্ব৷
সাথে, মনুষত্ব বৈকল্য আদিমতা'র৷
স্বার্থকতা কিংবা- সফলতা'র গুরুত্ব নয়, অনিবার্য৷
কারণ- প্রতিযোগিতা'র ভাবনা'ই একতরফা-
অ-চিন্তিত নিরুত্থাপিত সত্য;
বর্তমান প্রতিষ্ঠিত চিরন্তনে'র বাগডোর৷
বিতে যাওয়া- লম্ব-লগ্ন-ছায়া, ক্ষয়, নিঃস্বতা,
আর- অ-শান্তি'র প্রজ্বলনে, অর্পিত সম-প্রাণ-
উর্ধ্ব-সিড়ি নবো বিকশিত সময়ে'র গন্ডি'র-
উজ্জ্বল অগ্র-যাত্রী, আশা সহিষ্ণু অনির্বাণ জ্বলবে,
প্রতিষ্ঠান ধারা'র দিক নির্ণয়ে৷
কারণ- জীবন প্রকৃতি-তে,
দুই ইতি-নেতি কার্যক্রম- চালিয়ে আসছে,
ভূৎপত্তি-কাল থেকে, হারিয়ে পাওয়া'র
সু-নিক্ত আনন্দ নিয়ে, বেঁচে থাকা, এখন- কেবল৷৷
=


রচনা-সময়- ১৩/১০/২০১২
=
মার্জিত-রূপ সংস্করণে৷
=