আমার দেশের নাম ভারতবর্ষ –
হিমালয়ের হিম শীতলতায়, থরের উষ্ণতায় –
আমি খুঁজে পাই আমার ভারতবর্ষকে।
পূবের জংলী হাওয়ায়, দখিন সাগরের প্রবাহমানতায়-
আমি খুঁজে পাই আমার ভারতবর্ষকে।
স্বপ্নের আর এক নাম ভারতবর্ষ।
প্রতিবাদের আর এক নাম  ভারতবর্ষ।
কালাম-বিবেকানন্দ-টেরেসার দেশ এই ভারতবর্ষ।
ভারতবর্ষ নেতাজীর দেশ –
ভারতবর্ষ মহাত্মার দেশ।
ভারতবর্ষ আমার মা –
ভারতবর্ষ আমার পরিচয়।
আমি ভারতবর্ষকে খুঁজে পাই মাঝি মাল্লার গানে।
আমি ভারতবর্ষকে খুঁজে পাই রৌদ্র- জলে তামাটে হয়ে যাওয়া-
চাষি মজুরের পাথুরে শরীরে।
আমি ভারতবর্ষকে খুঁজে পাই মন্দিরের ঘণ্টায় –
মসজিদের আজানে, আর গির্জার প্রার্থনায়।
ভারতবর্ষ আমার রক্তে, ভারতবর্ষ আমার চেতনায়।
ভারতবর্ষ রবীন্দ্রনাথে –
ভারতবর্ষ নজরুলে।
ভারতবর্ষ হিমালয়ে, ভারতবর্ষ কন্যাকুমারিকায়।
ভারতবর্ষ বিভেদে, ভারতবর্ষ একতায়।
ভারত চেতনায় খুঁজি আমারে –
আবার আমিই হয়ে যাই ভারতবর্ষ।
ভারত সেতো এক ভূখণ্ড নয় –
ভারতবর্ষ এক সত্ত্বা –
ভারতবর্ষ এক পরিচয়।
ভারতবর্ষ দৃপ্ত বুকে এক অসম সাহস।
মাটির সোদা গন্ধে, বাতাসের নির্মলতায় –
পাথরের দৃঢ়তায় , আকাশের স্নিগ্ধতায় –
পাখির কূজনে –
বিভেদের মাঝে মিলনের আত্মম্ভরিতায় –
আমি খুঁজে পাই আমার চেতনার রঙে রাঙা ভারতবর্ষকে।
আমার দেশের নাম ভারতবর্ষ।