বাঘটার মনে কি চলছিল?
কেন সে নিজ বাস ভূমি ছেড়ে মানুষের জঙ্গলে এল?
সে কি জানত না , মানুষ আজ পশুতে পরিণত হয়েছে?


যে বাঘ নখে একমাত্র তারই ছিল আধিপত্য, তাতে ভাগ বসিয়েছে মানুষ।
সে নখ বড়ো ভয়ংকর।
মানুষের ক্ষুরধার নখরাঘাতে আজ জর্জরিত দিগ্বিদিক।
রক্তাক্ত বাঘের ব্যাঘ্রত্ব, রক্তাক্ত পশুর পশুত্ব।
মানুষ রূপী জান্তব মানসিকতায় বাঘটা মরল –
বুকে-পিঠে-পাঁজরে মানুষের হিংস্র আঘাত নিয়ে।


মৃত বাঘটার সাথে নিজস্বি তুলবার সে কী হুল্লোর!
যে হুল্লোর নির্মম মানসিকতার কাছে প্রশ্ন রেখে যায়-
এই পৃথিবী কি শুধু তোমারই?
তোমার লোলুপ উন্নাসিকতা কি একদিন প্রলয় ডেকে আনবে না?


বাঘটার দেহে বিঁধে থাকা প্রাণঘাতী বল্লম –
একদিন ফিরে আসবে লক্ষনশেল হয়ে।
সেদিন বিশল্যকরণীর খোঁজ দেবে কোন জাম্বুবান?
কোন হনুমান যাবে আনতে গন্ধমাদনে?


বাঘটা মরল –
হাসো , আর হাসো।
তোল নিজস্বী।
মনে রেখো , এই বাঘেদের নীরব প্রতিবাদ-
দুর্জয় হিমালয় হয়ে তোমারে ছিনায়ে নেবে-
কারাকোরামের হিমেল জঙ্গলে।