আমার যদি পাখির মত থাকত দুটি ডানা।
নীল আকাশে পাড়ি দিতাম ভুলে সকল মানা।
আমার যদি চিতার মত ঝড় থাকত পা তে।
ছুট লাগাতাম ভীষণ জোড়ে স্বর্ণ হরিণ পেতে।
আমার যদি রাত আকাশে থাকত জ্যোস্না আলো।
সূর্যটাকে ছুটি দিতাম,চাঁদনি রাতি ভালো।
আমার গলায় থাকত যদি মিষ্টি কোকিল সুর।
বসন্তগান গাইতাম আমি সারা নিঝুম দুপুর।
আমার পায়ে থাকত যদি ময়ূর ছন্দ নাচ।
জীবনটাকে আদেশ দিতাম নিজের মত বাঁচ।
আমার যদি বাজের মত দৃষ্টি প্রখর হত।
যা কিছু সব গোপন তোমার সবই প্রকাশ পেত।
আমি যদি ঝড়ের মত হতাম পাগোলপারা।
জীর্ণপাতা উড়িয়ে দিতাম হয়ে বাঁধ্হারা।
নীল আকাশের উদারতা থাকত যদি মনে।
মন জটিলা মুক্তি পেত উদাস হাওয়ার টানে।
আমার মনে থাকত যদি শিশুর সরলতা।
এক লহমায় জ্বালিয়ে দিতাম অবিশ্বাসী চিতা।
হতাম যদি সর্বংসহা নীরব ধূসর মাটি।
সংগোপনে পুতে দিতাম সবুজ বনের আঁটি।
আমার পায়ে থাকত যদি নদীর মত চলা।
জীবন ভাঁটায় বইয়ে দিতাম শত ঢেউয়ের মালা।
অনেক কিছুই নেই যে আমার তবু আছি বেঁচে।
ঝিনুক থেকে মুক্ত পেতে চলেছি সিন্ধু সেঁচে।