কতটা যাতনা দিতে পারা চাই ঋষি গৌতমী হতে?
কতটা ব্যাথা বইলে পাষাণ হয়ে যায় সতী অহল্যা?
কতটা অধিকার বোধ থেকে যাতনা দেওয়ার অধিকার জন্মায় তোমার –
হে পুরুষ?


কেবল নারী বলে পাথর হৃদয়ে সইতে হবে –
তোমার বিরামহীন তাচ্ছিল্য?
সমাজের লোলুপ ইন্দ্রদের কামনায় –
কতবার ধর্ষিত হতে হবে আমায়?
কতবার পরীক্ষা দিতে হবে আমার সতীত্বের –
তোমার দুষ্টতার কাছে?
তোমাদের কতটা আদিখ্যেতায় –
আমি দুরগা-জায়া-দুহিতা-সর্বংসহা?


আমার কতটা চোখের জল নদী
হয়ে তোমার তৈরী দুর্জয় বাঁধা ভাঙবার অপেক্ষায়?


একদিন আসবেই, ঝড় হয়ে বইবই।
নদী হয়ে চলবই।
সমস্ত অর্গল মুক্তির আনন্দে হব দিশেহারা।
সত্যি দুর্গা হয়ে জানান দেব আমার অস্তিত্ব।


আমি নারী – যেমন সইতে পারি
তেমনি ছিন্নমস্তা কালিকার মত শুষে নিতে পারি-
তোমার লোলুপতার রক্ত, দুষ্টামির রক্ত, আদিখ্যেতার রক্ত।

হে পুরুষ তোমার কতটা নির্দয়তায় সর্বংসহা নারী –
প্রতিবাদ হয়ে যায়?