দূরে নারিকেল পাতায় বসে থাকা নিঃসঙ্গ
শালিকের নিঃসঙ্গতায়;
বিকালের নরম রোদের স্পর্শ,
শালিক যেন সঙ্গহীনতায় সঙ্গী পেলো,
আবেশে পালক ছড়িয়ে জড়িয়ে নিলো
রোদের তুলতুলে পেলবতা,
জানালায় দাঁড়িয়ে অপলক চেয়ে দেখি---
ওর হৃদয়ের চঞ্চলতা।
আপ্লুত আবেগে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আমি---
পলকে উড়ে গেলো শালিক,
ওর উড়ে চলা পথেও আমার নিষ্পলক চাহনী;
যেন ওর গন্তব্য ওকে ছুঁয়ে দেওয়া কোমল
রোদের গর্ভধারিনী;
ও ছুঁয়ে দিতে চায় রক্তিম আভায় সেজে ওঠা
সারথি কে,
শালিকের ক্লান্তিহীন উড়ে চলা,
অনেক কথাই অব্যক্ত;না বলা।
এরই মধ্যে সারথি পাড়ি জমিয়েছে ;
পাড়ি জমিয়েছে অন্য কোথাও,
বিফল মনোরথে দিক পরিবর্তন শালিকের,
আমি তখন খোলা আকাশ তলে আলো ছায়ার ভুবন মোহিনী রূপে
বিমোহিত,
আবার সেই নারিকেল পাতায়
শালিকের একাকীত্ব;নিদারুণ নীরবতায়।
বিদায়ি পথে হেঁটে চলা আলো তখন
শেষ লগ্নে;
সব পাখি নীড়ে ফেরে,
কেবল ঐ একা শালিক বসে থাকে,
সঙ্গীর ফেরার পথে ওর অনিমেষ দৃষ্টি,
ওর সর্বস্ব উজাড় করা অপেক্ষার অবসান
ঘটিয়ে কখন ফিরবে ওর সঙ্গী,
আদৌ ফিরবে তো!
নিঃসঙ্গতার উঠোনে বসে আমি খুউব চাইছি---
দুজনে নীড়ে ফিরুক,
খুনসুটির রাত পেরিয়ে ওদের জীবনে
আসুক নতুন ভোর,