হ্যালো
হুম,সু-সকাল
সু-সকাল,কেমন আছো তুমি?


মন্দ নয়,আছি ভালো
রাতের আঁধার ঘুচে শেষে
ফুটলো ভোরের আলো...
তুমি ভালো তো!


হুম,আমিও বেশ আছি
শ্রাবণ মেঘের অন্তরালে
তোমার কাছাকাছি।


কবি--তোমার ভরাট কন্ঠে আজ বিষাদের সুর,
কি হয়েছে;বলা যায় আমাকে?


যখন আমার হৃদয় ঘরে
শূন্যতাদের ভীড়,
ব্যবচ্ছেদ এর করুণ ক্রোধে
নষ্ট কষ্ট নীড়,
তোমার চোখে দেখেছিলেম
স্বপ্ন বরিষণ,
সেই তো শুরু সুখ আবেশে
দুঃখের অনশন......
হুম তোমাকেই বলা যায়...
তোমাকে বলবো বলে
রাতের সাথে যুদ্ধ করে.......


হ্যালো,হ্যালো..শুনতে পাচ্ছো


এই তো,আছি
এখনো হারাইনি।


সাগর তুমি তোমার বুকে গহীন বিশালতা
তোমার কি গো মানায় এমন করুণ নীরবতা!
থামলে কেন কবি
বলো সব...যা আছে বলার সবই।


তুমি বড্ড চাইতে
সুখের দোলায় ভাসি আমি
ঠুনকো সংসারেতে


কবি..হাসালে আমাকে
ঠুনকো বলছো কাকে
পঁচিশ বছর পথ চলেছো
দুজন একই সাথে!


পঁচিশ বছর....দুজন.......
যদি হৃদয়ের সাথে
না মেলে হৃদয়
হিসেব কি মেলে কভু,
যদি সখ্যতা না হয়
কেবলই সংশয়
তারে ভালোবাসা বলো তবু?


তুমি পারোও কবি,
এবার বলো কি কথা শুনি.....


সমাজ সংসার(দীর্ঘশ্বাস)
সমাজ সংসার ভেবে
সবই নিলাম মেনে
আমার ভেতর আমিত্ব কে
ভাসিয়ে দিলাম জলে।
একটা কমিটমেণ্টে সাইন করেছি।
নীলা,তোমাকে করা এই আমার শেষ কল।
তুমি কষ্ট পাবে জানি,
তোমার আমার জীবন জুড়ে
কষ্টের হাতছানি।


তোমার আমার একই আকাশ
একই পথ চলা,
নাইবা হলো আর কখনো
এমন কথা বলা।
শোন কবি
একটু আধটু আমিও লিখি।
কালচক্রে একদিন ঠিক দেখা হয়ে যাবে
বর্ষণ মুখর কোন এক কাব্য সন্ধ্যায়,
আমি দূর থেকে দেখবো তোমায়,
সেদিন যদি সেও থাকে সাথে
ভালোবাসার নিবিড় ছোঁয়ায়
হাত রাখে ঐ হাতে.........


থামলে কেন নীলা,
জানি সেদিন কষ্ট জলে
গলবে কঠিন শিলা।


হুম,আমি মহা মানবী নই
তবু কষ্টগুলো হৃদয় কোণে
সযতনে সই।
ভালো থেকো কবি
দোহাই তোমার ভুলে যেও
সাগর নীলা'র ছবি।