না---এখন আর কোনো আবদার করবার
আবদার নেই কারো কাছে,
তবে একটা সময় ছিলো,
যখন ভাবতাম পরিবারের ছোট---
ভাবতামই বা বলছি কেনো,
সব সময় এটাই তো শুনেছি; জেনেছি---
" পরিবারে যে ছোট সদস্য সে নাকি খুব আদুরে,
আবদার করবার এখতিয়ার তারই থাকে"
ছোটবেলায় খুব যে আবদার করেছি
তাও কিন্তু নয়,
আমি বরাবরই ভীতু;ভীষণ ছিলো ভয়।
আমার বেড়ে ওঠার গল্পটাও কঠিন;
ভয়ানক বেদনার,
সে প্রসঙ্গ থাক; নাইবা বলি আর।
তারপর নতুন জীবন
মা হলাম তখন।
লাউডগা স্বপ্নরা তরতর করে বেয়ে ওঠে,
সুখে ভরে যায় বুক,
বিধি বাম; বিধাতা বিমুখ।
আমার কোনো দোষ ছিলো না
হলফ করে বলতে পারি,
তবুও লোকে আঙুল তোলে
বলে তুই নারী।
আমার বেলায় নিয়তিটা কে হয়তো
মানতে পারেনি অনেকে,
অবহেলা অবজ্ঞায় দূরে দিয়েছে ঠেলে।
দূরে ঠেলে দিয়েছে বটে
তবে স্বার্থসিদ্ধির পরে।
যখন চুকে গেলো লেনাদেনা
দায়-দায়িত্বের ভার,
তখন কেউ খড়কুটোকে
মনে রাখে আর!
তবু চেয়ে ছিলাম বাঁধনটুকু থাক
কারো মুখে নাইবা শুনি-----
                        আদর মাখা ডাক।
হলো না; কিচ্ছু হলো না
সবটাই মিছে ভাবনা।
আজ আর কোনো অভিযোগ নেই;
নেই কোনো অভিমান,
কোনো প্রত্যাশা নেই কারো কাছে
চাই না কোনো দান।
এখন আমি জীবন নিয়ে
নতুন সুখে বাঁচি,
জানতে চাও না;তবুও জানাই
ভীষণ ভালো আছি।


বিঃদ্রঃ উপরের কথাগুলোর বক্তা আমি নই,
ওসব এক যুদ্ধরত নারীর কথা,
আমি শুধু নির্বাক শ্রোতা,
শুনি আর লিখে যাই কবিতা।।