মাধবী লতার গা ঘেঁষে নির্বাক নয়নে যে মেয়েটি
গোধুলির রক্তিম আভায়
আকাশের সীমানা পেরিয়ে বিদায়ী সূর্যের
দিকে অপলক তাকিয়ে,
ও লাবণ্য;লাবণ্য শিউলি।
কুমুদ পুকুরের জল তরঙ্গ ছাপিয়ে
মুনিয়ার রঙ বদলের খেলায়
স্বপ্ন সিঁড়ির শেষ বেলায়
সে আজ আঁধারের মতো একা;একাকী।
বিশ্বাসের বক সাদা আঁচল আজ মেঘের
ধূসরতায় ঢেকে গেছে,
ওমেয়ে ঠকেছে;হেরে গেছে জীবনের কাছে।
আমি ওর চঞ্চল হরিনী চোখের সাগরে
বিষাদের ছায়া দেখেছি,
দেখেছি চপল হৃদয়ের গুটিয়ে যাওয়া।
না পাওয়ার বেদনা ছাপিয়ে
পেয়ে হারানোর নীল কষ্ট তিলক
দেখেছি তার ললাটে।
জীবনের ঘোলাটে নাট্যমঞ্চে লাবন্য শিউলি;
আজ বাকহীন এক অভিনেত্রী কেবলই।


আমি পৃথিবী মৃত্তিকায় শুদ্ধতার বনায়ন গড়ে
তুলতে চাই,
মনুষ্য হৃদয়ের পতিত জমিতে জন্মানো
অবিশ্বাসের আগাছা উপড়ে তুলে
বিশ্বাসের বীজ বুনে দিতে চাই।
ঘুনে ধরা মানসিকতার সমূলে বিনাশ
বিশ্বাস ঘাতকের সর্বনাশ...
আমার অবিনশ্বর অভিলাষ।
কীট পতঙ্গ নিঃশ্বাসের বিষাক্ততা শোধনে
পৃথিবী সাজাতে চাই সবুজ অরণ্যে।


না,এখনই ঘুমিয়ে যাবো না আমি
এখনো অনেক;অনেক কাজ বাকি,
তাই আজও জেগে আছি
জেগে আছি;জেগে থাকি।।