ছোটবেলায় খাদ্যমন্ত্রীর উপাধিও পেয়েছি,
না---বেশি খেতাম বলে নয়;
খাওয়ার স্বল্পতা আর স্বাস্থ্যের রুগ্নতায়
উল্টো বলে ক্ষ্যাপানো আর কি!
আমি সত্যিই ক্ষ্যাপে যেতাম,
কি অদ্ভুত রকম বোকা ছিলাম----
মনে পড়লে হাসি পায় ভীষণ।


কাঠিহীন ম্যাচের বাক্সে জ্যান্ত তেলাপোকা
ভরে আমিও ভয় পাইয়ে দিয়েছি
কতবার,
কি দুঃসাহস আমার!
অথচ এখন তেলাপোকায়
আমার ভয়ঙ্কর ভয়।


একবার পুতুলের বিয়েতে ছিলো
ভাত মাংশের আয়োজন,
পুতুল বিয়ের ছলে অনেকটা বনভোজন,
বেড়াতে আসা ভাগনেদের
ছিলো নিমন্ত্রণ।
পানিবিহীন চালে কাঠ খড়ের আগুন,
অবশেষে পুড়ে ছাই
আজও ভুলি নাই----


তারপর আরেকটু বেড়ে ওঠা,
ছন্দের গাঁথুনি
আর গল্পের প্লটে নিজের কথা।
লেখায় যাঁর জোর দখল;
দেখে বলতেন--
"যত্ন করে রেখে দাও,সময়ে কাজ দেবে"
বলা বাহুল্য, জাঁদরেল সে লেখকের
বদৌলতেই
ভুলভাল বানানের শুদ্ধি শিক্ষা আমার।


আমার লেখা চিঠির জবাব খামে
আমার চিঠিটাও ফেরত আসতো
ভুল বানানের শুদ্ধিকরণ সমেত,
তখনই শুদ্ধতার হাতেখড়ি,
কিন্তু জীবনের ভুল শুদ্ধতায়------


নির্লজ্জ বেহায়া স্মৃতি গুলো
কেবলই চিত্তপটে জ্বালা ধরায়,
ওদের আদিখ্যেতায়;পিত্ত জ্বলে যায়।