সদ্য কৈশোর পেরিয়ে  দূরন্ত যৌবনা
দূর গাঁয়ের শ্যামলা মেয়েটি ।
হালকা-পাতলা ছিপছিপে গড়ন,
রূপের জৌলুষ নেই তেমন ।
তার ডাগর চোখের নীল তারার মাঝে
ভেসে বেড়াতো অনাগত স্বপ্নের আল্পনা ।        
সুদীর্ঘ কেশরাশি ছুঁয়ে যেত হাঁটু অবধি,
অধর প্রান্ত জুড়ে গোলাপি পদ্মের কোমলতা,
সে গহীন মাধুরী
ব্যাকুল মন স্পর্শ করে যখন তখন।      
রঙিন বসন্তের প্রথম বাঁকে              
খুব কাছাকাছি  দেখেছিলেম তাকে ।          
সেই থেকে অনন্ত ভাললাগা
অবুঝ দুটি প্রাণের প্রবল উচ্ছাসে ভেসে চলা ।      
তারপর,  সেতো একদিন মিলিয়ে যায়
অমানিশা চাঁদের মত,
কতদিন দেখা নেই তার সনে ।
অসীম দূরত্ব দু'জনকে পাঠালো নির্বাসনে ।
তার রেখে যাওয়া স্মৃতিকণা
অন্তরালে বিদগ্ধ করছিল প্রতিক্ষণে  ।  


অবশেষে নীরবতার বেড়াজাল ছিড়ে
একদিন চিঠি আসে হলুদ খামে ।  
খাম খুলে দেখে নিলেম      
অদ্ভুত ভাললাগার চিঠি ।    
প্রতিটি শব্দ  জানিয়ে দিল...  
আমিযে তার প্রথম বসন্তে
হৃদয় কুঞ্জে প্রস্ফুটিত রক্ত গোলাপ ।
তার প্রথম বসন্তে ভাললাগার প্রথম গল্প          
প্রকাশিত  হলো এইমাত্র ।
আমার হৃদয় নদের দু'পাড় ছুঁয়ে      
শীতল স্রোত বয়ে যায় মূহুর্তে,        
শিরায় শিরায় জেগে উঠে  
আনন্দ উত্তাল শিহরণ ।
  
এ গল্পটা শুধুই দু'জনের
একটি ভাললাগার গল্প ।