বুনো রাজহংসের ধূসর পালকে
পথে পথে ডালে ডালে আম্রমুকুলে
রক্তবর্ন শিমূল-পলাশে
প্রস্ফুটিত বর্ণিল ফল্গুধারা ।
এখনও ঝরে যায় ফাগুন প্রভাতে
মলিন ঘাসের পরে
শিশুপর্ণে ফুলে ফুলে
রূপালী শিশির কণা ।
ফাগুন ভোরের জানালা মেলে
তুমি কী দেখোনি তা ?
শাল-সেগুন-মহুয়ার বনে
অবিরল ডেকে চলে বিরহি কোকিলা,
সুরেলা কন্ঠ চারিধারে
বসুধা চমকে বারেবারে,
তুমি কী শুনিবে না তা ?
পলাশের বনে ফুলের ঘ্রাণে
ভোমরা মাতোয়ারা আলিঙ্গনে ।
এমনও মধুর ক্ষণে
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে
কৃষ্ণকবরী, অধরাঙ্গন সাজিয়ে
বাসন্তি বরণ শাড়ি পড়ে
নূপুরের ঝঙ্কারে নৈঃশব্দ্য ভেঙ্গে
আমার হাত ছুঁয়ে
তুমি কী দেখিবে না,
বর্ণিল ফাগুনের প্রকাশনা ?