সকালটা বিবর্ণ ভীষণ
প্রকৃতি ছিল বিষন্ন
থেমেছিল পাখিদের সমস্ত কোলাহল,
চারিধারে অবাক নিস্তব্ধতা ।
শহরে যন্ত্রদানবের দাপাদাপি ঠেলে
কর্মক্ষেত্রে পা রেখেছি মাত্র,
অমনি কর্কশ স্বরে বেজে ওঠে সেলফোন ।
হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসে  
একটি চেনা কন্ঠ ।        
জরুরী খবর জানাতে ব্যস্ত সে,
প্রবল আগ্রহে অনর্গল জানিয়ে দিচ্ছে
হৃদয় রাজ্য তোলপাড় করা
তীব্র স্রোতে দুপাড় ভেঙ্গে যাওয়ার গল্পকথা ।
তোর ভাললাগার মানুষটি...          
গতকালই অন্য কারো হয়ে গেছে
নিভৃতে ।
এপাশ থেকে নিশ্চল পাথরের মত দাঁড়িয়ে
কথাগুলো শুনছি কেবল ।
তার কথাগুলো প্রতিধ্বনি হচ্ছিল বারংবার ।  
  
এরপর হন্যে হয়ে ছুটে গেছি
সেই দূরের চিরশ্যামল গাঁয় ।
অবসন্ন দেহে ঘুরেছি কত        
আঁকাবাঁকা ধূলোমাখা পথ ধরে...        
যেখানে কৃষ্ণকালো চুলের দোলায়
দোলেছিল মন,
যে পথে ক্ষণিকের তরে থমকে ছিল
নিমগ্ন পাথর চোখ,                              
যে পথে মন রেখেছিলেম                          
কোন এক সরলা কিশোরীর মনে ।        
সে পথ ধরে ফেরারি বেশে খুঁজে বেড়িয়েছি
তন্ন তন্ন করে,
পাড়া গাঁয়ের প্রতিটি উঠোন ।
হয়তো কোথাও আনমনে দাঁড়িয়ে আছে
রক্ত জবার মত লাল শাড়ি জড়িয়ে,      
কপালে লাল টিপ
আলতা মাখা পায়ে,                      
সদ্য মেহেদি রাঙা হাতে                
সোনালী কাঁকন পরে...।