পোড়ামাটির অট্টালিকার সিঁড়িতে
সেই কবে দেখা হয় তার সনে,
সবার অলক্ষ্যে কোমল দুটি মন
একই আঁচলে বাঁধা হয় ।
আমার লুপ্ত অস্তিত্ব মেতে উঠে উৎসবে
উর্বর জমিনে বেড়ে উঠে
ভাল লাগার প্রবাল গিরি,
হৃদয় কুঞ্জে বিকশিত বর্ণিল প্রসূনমঞ্জরী ।


ভূবন মোহিনী সেই মেয়েটি
একদিন অজ্ঞাতসারে ফিরেছিল
সুদূরের বিজন গাঁয়,
সেই থেকে তার স্মৃতি আমাকে ভাবায়
বাঁশরির সকরুণ মূর্ছনায় ।
অনেকটা দিন ভেবেছি তাকে নিয়ে
প্রবাহিণীর স্রোতের মত কেটে গেছে অনেকটা প্রহর
নির্ঘুম নিঃসঙ্গতায় ।


গড়াই্-মধুমতির সলিল স্নাত
জলকলমী আর শালুক ফুলের গন্ধ সিক্ত
বাবুই আর ফুলপাখিদের কোলাহল মুখর
চিরশ্যামল চাঁদরে অবগুন্ঠিত
সুদূরের সেই বিজন পল্লী হতে
জলমগ্ন তেপান্তর পিছনে ফেলে
উন্মত্ত পদ্মা পেরিয়ে
শরৎ মেঘের দোলনায় চড়ে,
এক বিষন্ন দুপুরে উড়ে আসে হলুদ খাম,
প্রণয় সারথীর চিঠি লেখা তাতে ।
তার হৃদয় গহনের অব্যক্ত যত কথা
গেঁথে আচে তার মাঝে
বিনি সূঁতোর মালার মত করে ।
রঙিন সুরার আসক্তি ভরে
বিভোর নয়নে দৃষ্টি রাখি,
খুটিয়ে দেখি কলমের প্রতিটি স্পর্শ,
তার পদ্মকলি হাতে লেখা সেই চিঠি
মূহুর্তে বদলে দেয় আমায়,
বদলে যায় আমার পৃথিবী ।