একদা আমারও কপাল ছিল!
ছিল চাঁদের মতো কোমল,
সূর্যের মতো তেজস্বি হৃৎপিণ্ড।
স্রোতস্বিনী নদীর কাছে পেতেছিলাম তৃষ্ণার্ত দুই হাত
দু’চোখ ভিজিয়ে উপমার উদাহরণে
রেখে গেল ক্ষত।
মহাকাল, তুমি কতোটা নিষ্ঠুর হলে দাও
সক্রেটিসের মুখে হেমলকের চুম্বন?
গ্যালেলিওর ভস্মিত মুখে খুঁজো
কোন পৃথিবীর আকার?
তোমার হৃৎপিণ্ডে কি আত্মা আছে,
নাকি আছে ক্ষত-বিক্ষত প্রেমিক পুরুষের প্রেতাত্মা?
নীল পদ্ম চোখে আজ রক্তের হাহাকার,
বুনো উল্লাসে আমি হয়ে যাই অন্ধ ফকির
আর রক্ত জলের স্রোত মমতাময়ীর চোখে।
একদা জোছনা চেয়েছিলে বলে
বিশ্বাসের হৃদয় উপড়ে দিয়েছিল চোখের মনি।
এখন তোমার চোখে অন্য চোখের বাস,
এখন সে চোখে আগুন জ্বলে
আমাকে দগ্ধের আগুন।
যমুনার স্রোত নস্যি করেছি তোমাকে দেখবো বলে,
তোমার তৃষ্ণার আকাঙ্ক্ষা মিটাবো বলে
বুকের জমিন পেতেছিলাম যমুনার কাছে,
দুঃস্বপ্নের সৌভাগ্য হয়ে নিয়ে গেছে
কপাল আমার যমুনার স্রোত।
আহা! কপাল নিয়ে গেছে যমুনা!