তোমার চোখে তাকিয়েই বুঝলাম, তোমাকে মানায় বলে,
কাজল এর রঙ কালোই ভালো।
বুঝলাম অনিয়মের অনেকগুলো মিথ্যে গল্পের ফাঁদে,
আমার না-পাওয়া গুলো।
ভুল সময়ে ভুল জোছনা আমার ঘরে উঁকি দিয়ে যায়,
অন্য কারো হবে না বলে।
চাওয়াগুলো অজানা অচেনা পথ মাড়িয়ে হারিয়ে যায়,
শূন্যতারই আঁখি মেলে।
ঠিকানা বিহীন আগন্তুকের স্বপ্নগুলো যায় ছুটে যায়,
ভাল লাগার অব্যাক্ততায়।
শেষ বসন্তের শেষে বিকেলে ক্লান্ত পথিক একলা একা,
বেলা শেষের গানটি শোনায়।
কেনো তবে মিছে মিছে, হাতটি বাড়াও স্বপ্ন ছুঁতে?
এই অবেলায় হারাবো বলে।
সেই কবেকার হাসিমুখে, আঙুল ছোঁয়ার বাহানাতে,
অভিমানের ঘোমটা খুলে।
কান্নার রঙে রাঙিয়ে দিয়ে, জোছনারা সব যায় যে উড়ে,
সত্য মিথ্যার দেয়ালে ফুঁড়ে।
দিব্যি আমি পথ খুঁজে পাই, এতটা পথ হেঁটে হেঁটে,
তোমার ঠোঁটের অন্ধকারে।
যতটুকু ভুলে থাকা যায়, যতটুকু ভুলা প্রয়োজন,
না পাওয়ার অসুখ ভুলে।
বসন্ত বাতাসে আলোরা সব যায় লুকিয়ে,
অমন ভালো বাসবো বলে।
যতটা না হারায়, তার চেয়ে বেশি ডুবায় আমায়,
ঐ কাজল কালো চোখ।
সুখেরাও আর ছুঁতে পারেনা, আমার ভেসে যাওয়া,
রাত না কাটা অসুখ।
ভেসে যেতে যেতে আমি নিরবে ডুবে যাই, খেই হারাই,
তোমার বুকের আবাসে।
ডুবে ডুবে দেখে যাই, প্রেমেরা সব ছেড়ে তোমাতেই মজে,
পাগল করা সুবাসে।