কোন কালেও যে রাত পোহাবে না
সেই ভোরে কিভাবে দেখবো বলো
তোমার ঘুম ভাঙ্গা সদ্য জাগা মুখ?
সমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়ে না
মধ্যরাতের যে মায়াবী জোছনা,
সেই সৈকতে কিভাবে দেখবো বলো
বালু চরের নির্জনতা ভেঙ্গে তোমার প্রতিচ্ছবি?
শাল মহুয়ায় রাত নামে কুয়াশার গন্ধ নিয়ে,
পলাতক শশী হাঁটে, আমিও হাঁটি, সূদুরের পথে-
যাযাবরেরা হারায় নাম না জানা গন্তব্যে,
শেষ প্রহরের বিচ্ছিন্ন স্বপ্নগুলো খেই হারিয়ে
পালায় হতচ্ছাড়া জীবন ছুঁড়ে, দিগ্বিদিক।
বেঁচে থাকার দায়ভার নিয়ে বেঁচে থাকে
মানব জীবন-বৃক্ষ রাজী-সমুদ্রের ঢেউ,
তোমার রেখে যাওয়া মুহূর্তগুলো।
দুঃস্বপ্নের বুকে দ্বিধাগ্রস্ত পায়চারী করে
হা-পিত্যেশে ভরা যৌবনের অতৃপ্তি গুলো,
বিষন্নতায় মোড়া চেতনার শেষ নির্যাসটুকু।
উদাসী মেঘ শ্রাবণের দিনে, ঘুরে একা একা
খুঁজে কোন বেহালার সুর, কোন সে বর্ষায়
মৃত্তিকার আলিঙ্গনের অপেক্ষায় কাটে দিবারাত্রি?
চৈত্রের খরতাপে পোড়া তোমার বুকে,
প্রথম বৃষ্টির ঘ্রান নিয়ে জেগে উঠার আশায়,
চাতকের লোভী ভালোবাসা ঘুমিয়ে রয়,
প্রেমিকের দু’চোখ জুড়ে।