যা আমাকে কাঁদায় বা যা আমাকে কাঁদায় না,
যা আমার ছিল বা যা কোনোকালেই আমার ছিল না,
কোনো কিছুই আর ছুঁবে না আমায়।
মিথ্যার মোড়কে সাজানো যে জীবন,
যে জীবন আমার নয় বা তোমারও নয়,
যে ফিরে না বা যে ফিরে, না ফেরার ঘরে,
কোনো কিছুই আর ভাবায় না আমায়।
হটাৎ যদি ক্লান্ত হয়ে ভবঘুরে মন ঘুমিয়ে যায়,
স্বপ্ন-না-দেখা কোনো এক শেষ-না-হওয়া দীর্ঘ রাতে,
জানালার ওপাশে থাকা নীল আকাশ বা শুভ্র সাদা মেঘের ভেলা,
কাশফুলের ডগায় বয়ে চলা হাওয়ার স্নিগ্ধতা,
কোন কিছুই আর অনুভবে আসে না আমার।
তুমি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলে, গোধূলির সোনালী রোদ,
আর আমি চেয়েছিলাম হতে স্থির কোনো নদীর জল,
আমাদের হওয়া হয়নি কিছুই বা হওয়ার ছিল না কিছুই।
কারো হাসিমুখ বা করুণ কণ্ঠস্বর,
কারো খুনসুটির চিমটি বা আলতো চুম্বন,
কোনো কিছুই আর আবেগাপ্লুত করে না আমায়।
যত দূরে গেলে দূরত্ব বুজায়, আমি তারও দূরে,
তোমার ভাবনা যত দূরে যেতে পারে, আমি তারও দূরে।
তুমি কি এখনও হাসো অযথা কারন ছাড়া?
এখনও কি সুখের দিনে আমার কথা ভেবে চোখে জল নামে?
তুমি হাসো বা কাঁদো, তুমি হাসাও বা কাঁদাও,
চোখের যে মায়ায় বেঁধেছিলে বা কোনোকালেও বাঁধনি,
যে মায়া আমার ছিল বা ছিল না কস্মিনকালেও,
কোনো কিছুই আর দেখা হবে না আমার।
শেষমেশ শেষ করে ফেলা কাজটাও আদৌ শেষ হয় না,
আসলে শেষ হওয়ার নয় এই মানবজীবন বা অন্যজীবন।