অভিমানী খেয়া
মাজহারুল মোর্শেদ
এমন কিছু দুঃখ আছে, অভিমানী কষ্টের ক্ষত আছে-
যা সহজেই ভেসে নিয়ে যায়
বিপরীতমুখী স্রোতের টানে।
এমন কিছু স্মৃতি আছে, অবর্ণনীয় কষ্টের দাগ আছে-
যা সহজে মোছা যায় না,
ক্ষত হয়ে থাকে-হৃদয়ের গহীনে।
চোখের জলের অনেক দাম, যে কাঁদে-সেই শুধু জানে-
অশ্বিনীকুমারেরা বহু ক্ষত রেখে গেছে ভেতরের দেয়ালে।
নীল আকাশ, বিবর্ণ দুর্বাঘাস
আর হলুদ বিকেলের প্রজাপতি
ঘাসফড়িঙের সাজানো অন্তঃপুরে ঢুকে গেছে-
কষ্টের লোনাজল।
শরত মেঘের গায়ে কাশফুলের আঁচলছোঁয়া ভালোবাসা-
তবুও নর্তকীর নাচে- ঘুরে ঘুরে ঘাগরার ছোবল-
নীলবিষ।
উর্বশী রমণীর চোখে পদ্মফোটা সরোবর-
নদীর টলটলে জল হাসে উন্মাদ তরঙ্গে
প্রবহমান অন্ধকার সব কিছু কেড়ে নেয়
কেড়ে নিয়ে যায়- পঙ্কিল প্রেমের উন্মাদনায়।
তবুও কোজাগরি চাঁদের আলোয়-বাজে কানাইয়ের বাঁশি
অর্ন্তদাহে পুড়ে রাধা- নীলবিষে।
বাসি হয়ে যাওয়া বকুলের গন্ধ, ভ্রমরের কানে কানে বলে-
কবে ফুরিয়ে গেছে বসন্ত-
মিলিয়ে গেছে বাহারী মেঘের রঙ।
তবুও এই অপরূপ ধ্বংস, মরচে-পড়া ঘরে
যমদূতের-মুহুর্মুহু ঘন্টাধ্বনি
মধ্যরাতে ঘুমভাঙ্গা-যন্ত্রণাদগ্ধ কবন্ধ প্রেমিকের-
সপ্তডিঙা ডুবেছে যেখানে।