রমণী
মাজহারুল মোর্শেদ

সে রমণী ভালবাসে অন্ধের মতো
বুকের নক্ষত্র চিড়ে ভালোবাসে পূর্ণতা যতো।
অন্তলোকে রাশি রাশি প্রেম সমুদ্রের জলোচ্ছাসে ভরা
অফুরন্ত কথা জমা বুকে অন্তরে ক্ষরা।
প্রেমময়ী হৃদয় ভরা অন্তহীন জাগ্রত প্রেমে,
পৌরুষ্য প্রণয়ে সোহাগিনী নারী শ্বাস্বত জনমে।
রমণীর প্রেমময়ী প্রভায় জ¦লে রূপের নিস্কশ্বিত যৌবন
অভিমানী মন অভিলাসী সুগন্ধে ভরে তৃপ্তক্ষণ।
মণিকাঞ্চন হৃদয়ে সহসা ভাসে স্বপ্নের আলিঙ্গন,
প্রতীক্ষিত চোখ নির্জনতায় খোঁজে বাহুর বন্ধন।
ফেলে চুলের ছাঁয়া রাত্রির বুকে নদীর মতো শাড়ি
শরীরের চড়ে জাগে জোয়ার অপরূপ বাহারী।
হে প্রিয়তমা, তুমি ছাড়া জ্বলবেনা তারার আলো
প্রেমের প্রদীপ তোমার  দুরিভুত করে অন্ধকার কালো।
এ জগতে যত প্রাপ্তি সমভাগী তুমি তার,
তবে কেন হবে নারী অবলা রুদ্ধ কেন দ্বার?
অকাতরে সব বিলিয়ে দিয়ে অন্যের থালা ভরে,
দুঃখ যত নিজের করে পরের সুখের তরে।
নিজের জীবন তুচ্ছ করে ধরার বুক পূর্ণ করে।
মহীয়ান সে আপন মহিমায় তবু পড়ে থাকে অনাদরে
কখনো মা,ভগ্নি কখনো পত্নিরূপে হাল ধরে
নুয়ে পড়ে মাথা শির হয় নত গ্লানীতে মন ভরে।