শ্রাবণ গগণে
মাজহারুল মোর্শেদ

শ্রাবণ গগণে কাজল কালো মেঘ
অঝোরে ঝরিছে বারিধারা।
চারিদিকে গহিন আঁধার কালো
নীড়ে ফেরে পাখি হয়ে সঙ্গী হারা।
আজি শ্রাবণে ভাদরে কালের দাপা দাপি
কানাকানি করে মেঘেরা উড়ে।
উদাসী মন ব্যাকুল অকারণ
অজানা কোন খানে যেতে চায় উড়ে।
অবিরাম মেঘেরা কাঁদে, বৃষ্টি ঝড়ে নিশিদিন
পাতায় পাতায় খসে পড়ে যৌবন।
ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর বস্ত্র হরণ করে
টানে টানে খসে পড়ে আবরণ।
নীলাম্বরী মেঘে ঝাপসা আঁখি পাতে
ছলছল বর্ষণের বারিধারা।
বইছে অবিরাম মানে না বারণ
আপন খেয়ালে হয়ে দিশাহারা।
অভিমানী আকাশের কান্না, অহেতুক বিড়ম্বনা
বাড়ে সকলের কষ্ট দুদর্শা।
রেইনকোট, ছাতা ক’জনার থাকে?
কষ্ট বাড়ে নেমে আসে হতাশা।
চারিদিকি থৈ থৈ মাঠ ভরা জল
বুক ভেঙে বন্যা নেমে আসে।
দুঃখ দুর্দশা বাড়ে বানভাসী মানুষের
দাঁড়াবার কেউ থাকেনা পাশে।
প্রতিষ্ঠান কিংবা খোলা ঘরে আশ্রয় নিয়ে
মানুষের সাথে পশুপাখি গাদাগাদি করে থাকে।
কোথা পাবে খাবার, কে দেবে পানি-
কীভাবে জীবন বাঁচে?